সারা বাংলা

করোনাকালের মধ্যেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কনকর্ড খুলশি টাউন সেন্টার

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করে সু-ব্যবস্থাপনা এবং ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় আবারো নতুন করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে চট্টগ্রামের অভিজাত শপিংমল কনকর্ড খুলশি টাউন সেন্টার।

পূর্বের সব দোকান জমজমাটভাবে চালু হওয়ার পাশাপাশি করোনাকালেও এই শপিং মলে নতুন করে চালু হতে যাচ্ছে ২৫টিরও বেশি ব্র্যান্ড শপ ও বিভিন্ন ধরনের শো-রুম। আগামী এক মাসের মধ্যে চালু হতে যাচ্ছে ওয়ালটন ,ইলেক্ট্রনিক্স, আরবান ট্রেন্জসহ বেশ কয়েকটি আধুনিক কয়েকটি ব্র্যান্ড শপ।

চট্টগ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা এবং খুলশী টাউন সেন্টার এর সভাপতি সৈয়দ রুম্মান আহমেদের বলিষ্ট নেতৃত্বে এবং নবীন-প্রবীণ ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে নব গঠিত কমিটির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চট্টলার সবচেয়ে আধুনিক এই শপিং মলটি নতুনভাবে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করেছে। খুলশি কনকর্ড টাউন সেন্টার ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ রুম্মান আহাম্মেদ জানান, খুলশি টাউন সেন্টার চট্টগ্রামের একটি বিশ্বমানের শপিং মল। পোষাক ব্র্যান্ড, জুয়েলারি, কসমেটিক, অত্যাধুনিক গেম জোন, ফুডকোটসহ এই শপিং মলে রয়েছে সাড়ে তিন শতাধিক এর ও বেশি দোকান ও শো-রুম।

সৈয়দ রুম্মান বলেন, ‘আমি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই মলে প্রায় অর্ধশতাধিক দোকান চালু করতে সক্ষম হয়েছি। করোনাকালের মধ্যেও এই মার্কেটে নতুন করে চালু হতে যাচ্ছে আরো ২৫টি ব্র্যান্ড শপ। আগামী এক মাসের মধ্যেই ওয়ালটন ব্র্যান্ড, আরবান ট্রেঞ্জসহ এসব অত্যাধুনিক ব্র্যান্ড শপ মার্কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে।’ 

সৈয়দ রুম্মান আহাম্মেদ আরও বলেন, ‘খুলশি টাউন সেন্টারকে চট্টগ্রাম নগরীর এক নম্বর ব্যস্ততম ব্যবসাবান্ধব শপিংমল হিসেবে জনপ্রিয় করতে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক সময় ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা এই মার্কেটের প্রতি বিমুখ থাকলেও এখন সবার কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মার্কেটটি। মার্কেটের বন্ধ থাকা প্রায় সবগুলো দোকান খোলা হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বড় বড় ব্র্যান্ড শপ এখানে আসছে। এরই মধ্যে ব্যবসায়ীদের পণ্যের ব্যাপক প্রচারণার লক্ষ্যে মার্কেটের সামনে ২টি ১৫৪ ইঞ্চির জায়ান্ট ডিজিটাল এলইডি স্ক্রীন স্থাপন করা হয়েছে। নতুন ব্যবসায়ীদের দেওয়া হচ্ছে নানা ধরনের প্রণোদনা সুবিধা।’

খুলশী টাউন সেন্টারের শপ ওনার্স কাজী সামি উদ্দিন আহাম্মেদ জানান, নতুন ব্যবস্থাপনায় সুদৃঢ় নেতৃত্বে খুলশি টাউন সেন্টার এই নগরের সবচেয়ে নান্দনিক এবং ব্যবস্ততম শপিং মলে রূপ পেতে যাচ্ছে। বিশেষ করে শপ ওনার্স এসোসিয়েশনে একটি তারুণ‌্যদিপ্ত টিম কাজ করায় শপিং মলটি এখন ঢাকা চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের কাছে বিজনেস হাব হিসেবে পরিণত হতে যাচ্ছে। এক সময় ক্রেতা ও ব্যবসায়ী বিমুখ থাকা নান্দনিক এই শপিং মলটি নগরীর অভিজাত শ্রেণির ক্রেতা ভোক্তাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। শুধুমাত্র ব্যবসাকে মূলমন্ত্র না ভেবে  এই মার্কেটের ওনার্স এসোসিয়েশন অনেক মানবিক কাজ করে যাচ্ছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো করোনাকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান কর্মচারীদের মধ্যে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা ও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এবং এখনো দুস্থ অসহায়দের মাঝে বস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।