সারা বাংলা

এমসি কলেজে গণধর্ষণ: আরেক আসামি দিরাই থেকে গ্রেপ্তার

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূ গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তারেকুজ্জমান তারেককে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা। 

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে প্রধান আসামিসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

র‌্যাব-৯ সিপিসি-৩ এর লেফটেনেন্ট কমান্ডার ফয়সল জানান, গণধর্ষ‌ণের ঘটনার পর সিলেট থেকে পালিয়ে যায় তারেক। পরে মাথার লম্বা চুল ও দাড়ি ফেলে দেন তিনি, যাতে করে তাকে কেউ চিন্তে না পারেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় র‌্যাব সিপিসি-৩ এর একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। এখন তাকে র‌্যাব হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে জানান  তিনি।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাতে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে আসা এক নববধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। এ ঘটনায় শনিবার সকালে ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এদিকে, ২৮ সেপ্টেম্বর মামলার তিন আসামি সাইফুর, অর্জুন ও রবিউলকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগরের শাহপরান (র.) থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাইদুর রহমান।  

এর আগে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা থেকে অর্জুন লস্করকেও গ্রেপ্তার করা হয়। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। নবীগঞ্জ থেকে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।