সারা বাংলা

এমসি কলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গ্যাপ রয়েছে: তদন্ত কমিটি

বিশাল আয়তনের সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজ (এমসি) ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি।   কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় তিন সদস্যের এ কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়।   কমিটির প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শহিদুল কবির চৌধুরী বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেটের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।   এসময় তিনি করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ছাত্রাবাস বন্ধ রয়েছে জানিয়ে বলেন, ‘এ সময়ে কোনো অবস্থাতেই ছাত্রাবাস খোলা রাখার সুযোগ নেই। তাই বিষয়টি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হবে বলে জানান তিনি।’   সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘১৪৪ একর জায়গার ওপর বিশাল ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য যা যা প্রয়োজন, মনে হয়েছে সেখানে গ্যাপ রয়েছে। হোস্টেল যেভাবে তৈরি সেখানে বহিরাগতরা অনায়াসে প্রবেশ করতে পারে। সেখানে আলোর সংকট, সীমানা প্রচীরের অভাব রয়েছে।’   তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় মূলত প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ও অবস্থান বিষয়ে তদন্ত করছি। এজন্য পুলিশ, কলেজ প্রশাসন, নির্যাতিত তরুণী ও তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছি। বৃহস্পতিবার ঢাকায় মন্ত্রণালয়ে প্রাথমিক প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেবো।’                   এর আগে মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন।   উল্লেখ্য, এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসা দম্পতির স্বামীকে আটকে রেখে শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টারদিকে কলেজ ছাত্রাবাসে নববধূকে ধর্ষণ করে কয়েকজন যুবক। এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই গৃহবধূর স্বামী।   এজাহার নামীয় আসামিরা হলেন— এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রণি, মাহফুজুর রহমান, অর্জুন লস্কর, বহিরাগত রবিউল ইসলাম ও তারেক। এছাড়া নাম না থাকা অজ্ঞাত রাজন এবং আইনুদ্দিনও গ্রেপ্তার হয়েছেন।