সারা বাংলা

লালমনিরহাটে কিশোরী গণধর্ষণের ঘটনায় সাংবাদিকসহ আসামি ১০

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় সাংবাদিকসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। কিশোরী রাতে ট্রেনে করে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে ফেরার সময় ভুল করে একটি স্টেশনে নামার পর ধর্ষণের হয়। পরবর্তীতে সালিশ বৈঠকে ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপুরণ নির্ধারণ করা হলেও তা দেওয়া হয়নি, অভিযুক্তদের বিচারও হয়নি। আসামিদের মধ‌্যে মধ্যে সাতজন ধর্ষক হিসেবে অভিযুক্ত আর তিনজন সালিশি বৈঠককারী।

আসামিদের মধ‌্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন, যে বাড়িতে বৈঠক হয়েছে, সে বাড়ির মালিক। স্থানীয় একটি অনলাইন সংবাদপত্রের মালিক ও সম্পাদককেও আসামি করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, মোহাম্মদ নুরু (৪০), মো. রঞ্জু (৩৫), রকি মিয়া (১৯), মো. আল-আমিন (৩০), বরাত মিয়া (২৬), মোর্শেদ (২১), আওলাদ (৪০), আজিজুল (৪৫), সোলেমান (৫০) ও নুর আলমগীর অনু। 

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) ফরহাদ হোসেন বলেন, ধর্ষিতা কিশোরীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত করে একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলায় ১০জন আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে সরাসরি সাতজন ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে শনিবার শারীরিক পরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে নির্যাতিতা মেয়েটি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বাকি আটকের আশ্বাস দেন। 

৯ অক্টোবর পর্যন্ত ওই কিশোরীকে আটকে রাখা হয়। পরে বৈঠকের নামে ৬০ হাজার টাকা ধর্ষণের মূল্য নির্ধারণ করে। কিন্তু সেই কিশোরীর হাতে সেই টাকা না দিয়েই তাকে বাড়ি পাঠানোর চেষ্টা করে। পরে সে কালিগঞ্জ প্রেস ক্লাবে আশ্রয় নেয়।  ৯ অক্টোবর দুই হাজার টাকা দিয়ে ওই কিশোরীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু সে বাড়ি না গিয়ে কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবে যায়।এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তা চায়। এসময় সাংবাদিকরা বিষয়টি থানায় অবগত করে। পরে পুলিশ ঐ কিশোরীকে নিয়ে যায়। 

নির্যাতনের শিকার কিশোরী জানায়, গত ৬ অক্টোবর রাতে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার খালার বাড়ি থেকে নিজবাড়ি কাউনিয়ায় ট্রেনে ফিরছিলেন। কাকিনা রেলওয়ে স্টেশনে মেয়েটি হালকা খাবারের জন্য নামলে ট্রেনটি ছেড়ে দেয়।

পরে স্থানীয় রকিসহ আরও চারজন তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে একটি অটোরিকশায় উঠিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাতে থাকে। রাত প্রায় একটা পার হলে কাকিনা স্টেসনের পরিত্যক্ত সিনেমা হলের পাশে নিয়ে যায়। ।সেখানেই একটি ছোট ঘরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।