সারা বাংলা

প্রেমিকসহ ৩ বন্ধু মিলে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ 

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় এক কিশোরীকে ‘প্রেমিকসহ তিন বন্ধু মিলে’ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সকালে তিনজনকে আসামি করে মহেশখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মহেশখালী থানার ওসি মো. আব্দুল হাই মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার (১১ অক্টোবর) রাতে মহেশখালী উপজেলার বড় দেবাঙ্গপাড়া গ্রামে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। এ মামলার আসামি মোহাম্মদ এবায়দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ওই উপজেলার গুলগুলিয়া পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ওরফে নবাব মিস্ত্রির ছেলে।

স্থানীয়দের বরাতে ওসি আব্দুল হাই বলেন, ওই কিশোরীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের গুলগুলিয়া পাড়া গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে নুরুল হাকিমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ১১ অক্টোবর রাতে নুরুল হাকিম ওই কিশোরীকে ফোনে কল দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে আনে।

ওসি বলেন, ওই কিশোরী প্রেমিকের উল্লেখিত স্থানে এসে নুরুল হাকিমের সঙ্গে খায়রুল আমিন ও মোহাম্মদ এবায়দুল্লাহ নামে আরও দুই যুবককে দেখতে পায়। এক পর্যায়ে তারা তিন বন্ধু মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে ওই কিশোরী বাড়ি ফিরে ঘটনাটি মাকে জানায়।  

পরদিন সোমবার (১২ অক্টোবর) রাতে ঘটনায় জড়িতরা ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও ধারণের তথ্য জানিয়ে ওই কিশোরীর পরিবারের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন বলে জানান বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য এরফান উল্লাহ।

এরফান উল্লাহ বলেন, তিনিসহ স্থানীয়রা ওই কিশোরীর পরিবারকে পরামর্শ দেন- ঘটনায় জড়িতদের টাকা নিতে আসার জন্য। এতে সোমবার রাতে দেবাঙ্গপাড়া সংলগ্ন স্থানীয় এক বিলে টাকা নিতে আসে ঘটনায় জড়িতরা। এতে স্থানীয়দের ফাঁদে পড়ে তারা। তখন মোহাম্মদ এবায়দুল্লাহ ও খায়রুল আমিনকে ধরা হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি আশরাফুল ইসলাম রাশেল জোর খাটিয়ে খালাত ভাই দাবি করে খায়রুল ইসলামকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। 

পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এবায়দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় বলে জানান এরফান উল্লাহ। ওসি আব্দুল হাই জানান, ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।