সারা বাংলা

শ্বশুরবাড়িতে মাটি খুঁড়ে মিললো নিখোঁজ গৃহবধূর মরদেহ

কক্সবাজারের মহেশখালীতে শ্বশুরবাড়ির আঙ্গিনার মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় নিখোঁজ গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৭ অক্টােবর) রাতে মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

রোববার (১৮ অক্টােবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাই।

নিহত আফরোজা বেগম (২৪) কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা এলাকার হাসান বশিরের ছেলে রাকিব হাসান বাপ্পীর স্ত্রী। রাকিব হাসান বাপ্পী চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক। আফরোজা বেগমের বাপের বাড়ি একই উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পুঁইছড়া এলাকায়। তিনি মোহাম্মদ ইসহাকের মেয়ে।

ওসি মো. আব্দুল হাই জানান, গত ১২ অক্টোবর শ্বশুরবাড়ি থেকে আফরোজা বেগম নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তার বাবা মোহাম্মদ ইসহাক বাদী হয়ে স্বামী রাকিব হাসান বাপ্পীকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। পরে স্বজনদের পাশাপাশি পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর নিয়েও আফরোজার সন্ধান পায়নি। 

‘ঘটনার অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়, নিখোঁজ গৃহবধূ আফরোজার মরদেহ শ্বশুরবাড়ির আঙ্গিনায় মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় রয়েছে। পরে শনিবার রাতে মাটি খুঁড়ে পুলিশ তার অর্ধ-গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে।’

আফরোজার স্বজনদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, নয় মাস আগে রাকিব হাসান বাপ্পীর সঙ্গে আফরোজা বেগমের বিয়ে হয়। এটি দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। আফরোজা বেগমের স্বামী মারা যাওয়ার পর বাপ্পীকে বিয়ে করে। অন্যদিকে, রাকিব হাসান বাপ্পী প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর আফরোজা বেগমকে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে বাপ্পীর সঙ্গে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর আবারও যোগাযোগ গড়ে উঠে। এ নিয়ে আফরোজা ও বাপ্পীর মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।

ওসি জানান, দাম্পত্য কলহের জেরে রাকিব হাসান বাপ্পী স্ত্রী আফরোজার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালাত বলে স্বজনরা অভিযোগ করেন। এ নিয়ে বিচার-শালিসও হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।