সারা বাংলা

এসআই আকবরের দেশত্যাগ ঠেকাতে পঞ্চগড় সীমান্তে সতর্কতা

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর হোসেনের দেশত্যাগ ঠেকাতে পঞ্চগড় সীমান্তে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও ইমিগ্রেশন বিভাগ।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন বিভাগের কনেস্টবল আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত বন্ধ থাকায় এ পথ ব্যবহার করে কেউ ভারতে যেতে পারবে না।

পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন‌্যান্ট কর্নেল খন্দকার আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে কেউ যেন যাতায়াত করতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি পুরো সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে আছে। কোনো অপরাধী এ সীমান্তপথ ব্যবহার করতে পারবে না।

উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর রাতে রায়হান আহমেদ নামের এক যুবককে আটক করে সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, ওই রাতে ফাঁড়িতে তার ওপর নির্যাতন চালায় পুলিশ এবং ছেড়ে দেওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা দাবি করে। ভোরে অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর থেকে ছেলের ফোন পান রায়হানের বাবা। বাবাকে টাকা নিয়ে আসার অনুরোধ করেন রায়হান। রায়হানের বাবা টাকা নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে গেলে তাকে জানানো হয়, রায়হান এখন ঘুমাচ্ছে, সকাল ১০টার দিকে আসতে হবে। সকাল ১০টার দিকে গেলে তাকে ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে যেতে বলা হয়। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, রায়হার মারা গেছেন।

এ ঘটনায় গত ১১ অক্টোবর রাতে সিলেট কোতোয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। এ মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।

রায়হানের মৃত‌্যুর ঘটনায় ১২ অক্টোবর এসআই আকবরসহ ওই ফাঁড়ির চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর থেকেই লাপাত্তা এসআই আকবর।