সারা বাংলা

রূপগঞ্জে বিএনপির অনুষ্ঠানে হামলা, সাংবাদিকসহ আহত ২০

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা ও তৈমূর আলম খন্দকারের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হামলা হয়েছে। এতে সাংবাদিকসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই অনুষ্ঠানে হামলা করে। এ সময় তারা প্যান্ডেল, চেয়ার ও বেশকিছু গাড়ি ভাঙচুর করে। 

বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী এ হামলা চালিয়েছে।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে রূপসী খন্দকার বাড়ি এলাকায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও বিএনপি চেয়ারপারনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের জন্মদিন উপলক্ষে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। বিকেল ৫টার দিকে মাহমুদুর রহমান মান্নার বক্তব্য চলাকালে ৩০-৪০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তারা প্যান্ডেল, চেয়ার ভাঙচুর করে। পরে মাহমুদুর রহমান মান্না, তৈমূর আলমের মেয়ে মারিয়াম খন্দকারের গাড়িসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। অস্ত্রধারীদের হামলায় যুবদল নেতা আশরাফুল আলম রিপন, আনোয়ার সাদাত সায়েম, তারিকুল ইসলাম বিপুল, মহিবুর রহমান, আবু মাসুম, আজিম সরকার, জামাল হোসেন, মফিজুর রহমান, আনিছুর রহমান, হানিফ, আব্দুল মান্নান, ফাতেমা বেগম, নজরুল, আনোয়ার, নাজমুল, কাজল গাজী, খালেদ হোসেন রতন, গোলাপ হোসেন, এনায়েত হোসেন, ইসমাঈল হোসেন, আব্দুল লতিফ মেম্বার, সুলতান আহম্মেদ মোড়ল, হামিদুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, ঈমান আলী, দৈনিক করতোয়ার রূপগঞ্জ প্রতিনিধি মঞ্জুরুল কবির বাবু এবং কেটিভির রূপগঞ্জ প্রতিনিধি শাকিল আহম্মেদ আহত হন। 

তৈমূর আলম খন্দকার অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে।

মহানগর যুবদলের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ অভিযোগ করেছেন, এ হামলায় থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিকদার, সহ-সভাপতি রিয়াদ, থানা যুবলীগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পাভেলসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা অংশ নিয়েছে।

তবে রূপগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিকদার বলেছেন, ‘খোঁজ নিয়ে যতটুকু জানতে পেরেছি, বিএনপি একটা প্রোগ্রাম করছে। এটা জেনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে যান। তবে তারা সেখানে হামলা চালাননি।’

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা অনুমতি না নিয়ে অনুষ্ঠান করেছেন। হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে বিএনপির কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’