সারা বাংলা

সাবেক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্বে গ্রামবাসীর ঘুম হারাম

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্বে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। কয়েক দশক ধরে চলমান দ্বন্দ্বের জের ধরে হামলা, মামলা ও খুনের ঘটনায় ঘরছাড়া দুই গ্রামের অনেক পুরুষ মানুষ। আতঙ্কে ঘুম হারাম হয়েছে নারী ও বয়োজ‌্যেষ্ঠ ব‌্যক্তিদের।

তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর আছেন তারা।

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, কয়েক দশক ধরেই সংঘাতের মুখোমুখি হতে হচ্ছে শ্রীকোল ইউনিয়নবাসীকে। অনেকের বাড়ি-ঘরে হামলা চালানো হয়েছে। এর নেপথ্যে আছেন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মুতাসিম বিল্লাহ সংগ্রাম ও সাবেক চেয়ারম্যান কুতুবুউল্লাহ মিয়া কুটি।

দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৬ অক্টোবর খুন হন সংগ্রামের সমর্থক মশিয়ার রহমান। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের করা মামলায় ঘরছাড়া কুটির সমর্থকরা। পুরুষশূন্য হওয়ায় আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন দরিবিলা ও দায়েরপোল গ্রামের নারী-বয়োজ্যেষ্ঠ ব‌্যক্তিরা।

গত দশ বছরে দুই পক্ষের হামলা, পাল্টা হামলায় প্রাণ গেছ পাঁচজনের। আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।

শ্রীকোল ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামের শিক্ষক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘স্বস্তিতে থাকার উপায় নেই। আপনাকে একটা দলে থাকতেই হবে। মার খাবেন বা দেবেন। হয় মামলা করবেন, না হয় আসামি হবেন।’

বরিষাট গ্রামের কৃষক মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘রাজায় রাজায় যুদ্ধ, প্রাণ যায় উলুখাগড়ার। বাপ-দাদার আমল থেকে একই অবস্থা দেখে আসছি।’

টুপিপাড়া গ্রামের কলেজ ছাত্র ইমন মিয়া জানান, ‘যেখানেই থাকি, সংঘর্ষ হলে আসামি হতে হয়।’

মুতাসিম বিল্লাহ সংগ্রাম ও কুতুবুউল্লাহ মিয়া কুটি দুজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তারা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। হামলা-মামলার জন‌্য তারা পরস্পরকে দোষারোপ করেছেন।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আহমেদ মাসুদ বলেছেন, ‘শ্রীকোল এলাকায় শান্তি ফেরাতে রাত-দিন কাজ করছে পুলিশ। তবে সবার সহযোগিতা না পেলে পুলিশের পক্ষে তা অসম্ভব।’