সারা বাংলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালে গৃহবধূর লাশ ফেলে পালিয়েছে স্বামী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিল্পী আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে তার স্বামী। 

সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিল্পী আক্তার মাধবপুর উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের মাল্লা গ্রামের দক্ষিণ পাড়া এলাকার মৃত ফিরোজ মিয়ার মেয়ে।

ওই গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাজমুল হক রনি ও বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ মাস আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় চান্দুরা ইউনিয়নের জালালপুর মতি মেম্বারের বাড়ির মৃত তালেব আলীর ছেলে ফারুক মিয়া বিয়ে করেন শিল্পীকে। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহ দেখা দেয় ফারুক-শিপ্লী দম্পতির।

গত কয়েকদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চলে আসছিল। সোমবার বিকেলে বাসায় ফিরে শিল্পীকে ঘরের বিছানার ওপর অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্বামী ফারুক। পরে চিকিৎসার জন্য স্বামী ও পরিবারের লোকেরা শিল্পীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাজমুল হক রনি শিল্পীকে মৃত ঘোষণা করলে স্বামী ফারুক ও তার পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।

হাসপাতাল কতৃপক্ষ পুলিশকে জানালে নিহত শিল্পীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত শিল্পীর দুলাভাই নুরুল ইসলাম বলেন, শিল্পীর বিয়ের পর থেকে শুধু শুধু মারধর করতেন তার স্বামী ফারুক। প্রায় সময়ই ফারুকের বোনের সাথে ঝগড়া হতো শিল্পীর। এসব অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে সোমবার সকালে শিল্পী বাপের বাড়িতে চলে আসতে চাইলে স্বামী জোরপূর্বক আটকে রাখে। পরে বিকেলে শিল্পীকে বিষপান করিয়ে হত্যা করা হয় ৷ শিল্পী মারা গেলে হাসপাতালে লাশ ফেলে পালিয়ে যায় স্বামী ফারুক।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই বলা যাবে। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।