উদ্বোধনের এক মাস পার হতে না হতেই বন্ধ হয়ে গেছে নেত্রকোনার কংস নদের ওপর চলাচল করা ফেরিটি।
একমাত্র ফেরিটি বন্ধ থাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজি, মাইক্রোবাসসহ অন্যান্য যানবাহন পারাপার করা যায় না। নৌকাই এখানকার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা। এর ফলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চলাচলরত সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, নেত্রকোনা থেকে দুর্গাপুর-কলমাকান্দা যেতে এই নদী পার হয়ে যেতে হয়। সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার কথা চিন্তা করে ২০১৮ সালের প্রথম দিকে সড়ক ও জনপথ এখানে ফেরি চালু করে। কিন্তু উদ্বোধনের এক মাস যেতে না যেতেই তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে সিএনজি, মাইক্রোবাসসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন পারাপার করা হয় ছোট নৌকা দিয়ে। যার ফলে এই এলাকার সাধারণ জনগণের দুর্ভোগের শেষ নেই। শুধু তাই নয়, এখানে প্রতিদিনই ঘটছে হতাহতের ঘটনা।
পথচারী সুমন সরকার জানান, এই নদীতে ফেরি না থাকায় খুব অসুবিধায় পড়তে হয়। ফেরি চালু হলে যানবাহন পারাপারে যেমন সুবিধা হবে, তেমনি সরকার পাবে অনেক রাজস্ব। তাই এখানে দ্রুত ফেরি চালু এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি।
স্থানীয় বাসিন্দা ইকবাল হাসান জানান, বর্ষাকালে পানি বৃদ্ধি পেলে নৌকা দিয়ে মোটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যানবাহন পারাপার করতে খুবই সমস্যা হয়। পথচারীদের কাপড় ভিজে যায়। এছাড়া, অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। কেনই ফেরি চালু করেছিল আর এখন কেনইবা বন্ধ করে দিল? অযথা সরকারি অনেক টাকা নষ্ট করা হয়েছে। এখানে একজন পাহাদার রয়েছে। তাকে বসিয়ে রেখে সরকার টাকা ব্যয় করছে। দ্রুত ফেরিটি চালু করে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কর্তৃপক্ষ,এমনটিই প্রত্যশা স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হামিদুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন পড়ে থাকার ফলে ইঞ্জিন নস্টসহ বিভিন্ন কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বারবার টেন্ডার দিয়েও ইজারাদার না পাওয়ায় তা চালু করা যাচ্ছে না। তবে ইঞ্জিন মেরামতের কাজ চলছে। কবে চালু হবে তাও সুনির্দিষ্ট করে বলতে না পারছেন না তিনি। এদিকে দ্রুত ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা চলছে বলেও জানান তিনি।