সারা বাংলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংস্কারহীন রাস্তাঘাট, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ১৬০ বছরের পুরনো ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার অধিকাংশ সড়কের অবস্থা নাজুক। এসব সড়ক দিয়েই প্রতিদিন মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পোহাতে হয় দুর্ভোগ।

জানা গেছে, ১৮৬৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর চার বছর পরেই এর নামকরণ হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা। প্রায় সাড়ে ১৮ বর্গকিলোমিটারের এই পৌরসভায় বর্তমানে প্রায় তিন লাখ মানুষের বসবাস। পৌরসভায় নেই কোনো ডাম্পিং স্টেশন। নেই প্রয়ঃপ্রণালীর সু-ব্যবস্থা। সামান্য বৃষ্টি হলেই সব রাস্তায় পানি জমে। নিয়মিত ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ করেছেন পৌরবাসী।

অভিযোগকারীরা জানান, পৌরসভার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত সবচেয়ে বড় খালসহ (শহর খাল) বিভিন্ন খাল প্রভাবশালীরা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেন। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই পৌরসভার রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, প্রতিদিন পৌরসভার রাস্তা দিয়ে প্রায় চার হাজার রিকশা ও কয়েক হাজার ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলাচল করে। কিন্তু অধিকাংশ রাস্তা ভাঙা থাকায় খুবই ভোগান্তি পোহাতে হয়। রোগীদের নিয়ে যেতে অবর্ণনীয় কষ্ট করতে হয়। প্রতি বছরই পৌরসভার পক্ষ থেকে কয়েকটি রাস্তায় সংস্কার করা হয়। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই রাস্তাগুলো আগের অবস্থায় ফিরে আসে। 

সরজমিনে দেখা গেছে, শহরের কুমারশীল মোড় থেকে সড়ক বাজারের মোড়, কুমারশীল মোড় থেকে ফুলবাড়িয়া বাস্ট্যান্ড, শহরের টি.এ.রোডের মঠের গোড়া থেকে মধ্যপাড়া বাসস্ট্যান্ড, শহরের কালীবাড়ি মোড় থেকে দক্ষিণ পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড, কালীবাড়ি মোড় থেকে শিমরাইলকান্দি শ্বশ্মানঘাট, রামকানাই হাই একাডেমির সামনে থেকে লোকনাথ উদ্যানের সামনে, মেড্ডা কাল ভৈরব মন্দিরের সামনে থেকে সিও অফিসের মোড়, শহরের পুরাতন কাচারীর পাড় থেকে মেড্ডা পীরবাড়ি, নিউমার্কেট সড়ক, সড়ক বাজার সড়ক, শহরের ঘোড়াপট্টি ব্রিজ থেকে টান বাজার সড়ক, শহরের মাদরাসা রোড থেকে কান্দিপাড়া সড়ক, কাজী মাহমুদ শাহ গেট থেকে কাজীপাড়া সড়ক, কাজীপাড়া ধোপা বাড়ি মোড় থেকে মৌলভীহাটি রোডসহ বিভিন্ন মহল্লার সড়কেরই বেহাল অবস্থা। এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা কালীবাড়ি মোড় থেকে  শিমরাইলকান্দি শ্বশ্মানঘাট পর্যন্ত সড়কের। 

এই সড়কটি সংস্কারের দাবিতে কয়েকদিন আগে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত বলেন, পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তারই অবস্থা ভালো না। একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভার রাস্তাঘাট এমন হবে তা মেনে নেওয়া যায় না। 

পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবিরকে মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অফিসে ছাড়া কথা বলবো না।