সারা বাংলা

সরকার নির্ধারিত দামে আলু মিলছে না সাতক্ষীরায়

সরকার খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম নির্ধারণ করে দিলেও সাতক্ষীরায় তা মানছে না কেউই। তবে আলুর দাম বাড়ার কারণ হিসাবে আড়তদার ও হিমাগারগুলোকে দায়ী করছেন ব্যবসায়িরা।

এদিকে গত কয়েক দিনে দফায় দফায় বাজারে আলুর দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাতক্ষীরার মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা।

আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স, কয়েক দিনের মধ্যে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মার্কেটিং অফিসার।

সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজার ও পাটকেলঘাটা বাজারের আলুর পাইকারি ও খুচরা বাজারে ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন আড়তে পর্যাপ্ত আলু মজুদ থাকলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৮ টাকা দরে।  সরকারিভাবে খুচরা বাজারে আলুর দাম ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও তা মানছেন না কেউই।

শহরের সুলতানপুর বড় বাজারের পাইকারি আলু ব্যবসায়ী মুনসুর আলী জানান, নর্থবেঙ্গল থেকে হিমাগারগুলো আলুর দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বেশি দামে আলু কিনতে হচ্ছে তাদের। তার উপর সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করলে কেজিপ্রতি লোকসান গুনতে হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকা। ফলে বাধ্য হয়ে আলু কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়িরা। এত করে আলুর বাজারে সৃষ্টি হচ্ছে নৈরাজ্য।

পাটকেলঘাটা বাজারের আলুর খুচরা ব্যবসায়ী মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা স্থানীয় পাইকারদের কাছে কম দামে আলু পাচ্ছি না। তারপর বেশি দামে আলু কিনে কম দামে বিক্রি করলে আমাদের পুজি হারিয়ে পথে বসতে হবে। তাই আলুর পরিবর্তে সবজি বিক্রি করছি।

সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর এলাকার বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, আলুর এতদাম কখনো দেখিনি। খুচরা বাজারে আলুর দাম বাড়ায় বিপাকে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। 

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানজিল্লুর রহমান জানান, আলুর বাজার স্বাভাবিক করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। 

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মার্কেটিং অফিসার (বাজার কর্মকর্তা) সালে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হচ্ছে। এ সপ্তাহের মধ্যে সরকার নির্ধারিত দামে বাজারে আলু বিক্রি নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন তিনি।