সারা বাংলা

নিষিদ্ধ সময়ে বেপরোয়া মুন্সীগঞ্জের মা ইলিশ শিকারিরা

নিষিদ্ধ সময়ে মুন্সীগঞ্জের পদ্মা ও মেঘনা নদী জুড়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন ইলিশ শিকারিরা। জেলার সদর ও লৌহজং উপজেলায় চলছে ইলিশ শিকারের মহোৎসব। প্রশাসনের কোনো বাধাই মানছেন না জেলেরা।

সরকার মা ইলিশ প্রজনন মৌসুম ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও গত ৩ দিন টানা বৃষ্টির কারণে নৌ-পুলিশের ঢিলেঢালা অভিযানে পড়ে ব্যাপক ভাটা। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জেলেরা অনেকটা নির্বিঘ্নে মা ইলিশ শিকার করছেন।

এদিকে, মা ইলিশ সংরক্ষণে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এপর্যন্ত মাওয়া নৌ-পুলিশের অভিযানে ১২০ জনকে আটক, ৫ মণ ইলিশ জব্দ ও ৮০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসময় ১০টিরও বেশি নৌকা ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা নদীতে মাছ শিকার করে পাড়ে এসে কেজি প্রতি ২ থেকে ৩শ টাকা বিক্রি করে আবার মাছ শিকারে চলে যান। আর ক্রেতা কেউ বস্তায়, কেউ পলিথিন ব্যাগে, কেউ পাতিলে করে নানান কৌশলে গ্রামের ভেতর দিয়ে নিয়ে আসেন শহরে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, মুন্সীগঞ্জ মোল্লারচর এলাকায় মা ইলিশ বিক্রিতে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। এলাকাটিতে বসবাসরত বেদে সম্প্রদায়ের কয়েকটি পরিবার জাজিরা বকচর নামক এলাকা থেকে নৌকায় করে প্রতিদিন ইলিশ ক্রয় করে মোল্লারচর এলাকায় এসে বিক্রি করেন। প্রতি কেজি ইলিশের মূল্য ৫শ টাকা। হাতের নাগালে বড় বড় ইলিশ কম মূল্য পাওয়াতে প্রতিদিন সকালে ভিড় জমে যায় এলাকাটিতে।

মুন্সীগঞ্জ জেলা মৎস কর্মকর্তা সূনীল মণ্ডল জানান, মা ইলিশ নিধনের সঙ্গে জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অভিযান চলমান রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময় মা ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।