সারা বাংলা

নিখোঁজের দু’দিন পর ডোবায় লাশ, কী ঘটেছিল শিশুটির সঙ্গে?

মাত্র দুই সপ্তাহের জন্য মায়ের সাথে নানাবাড়ি বেড়াতে এসেছিল ৬ বছরের শিশু ফয়সাল মেহরাব আরিয়ান। বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে হঠাৎ করেই নিখোঁজ। দু’দিন পর বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) নানাবাড়ির পাশেই একটি ডোবায় মিললো আরিয়ানের মৃতদেহ। কি করে শিশুটি ডোবায় গেলো, তাকে কি হত্যা করা হয়েছে নাকি সে পানিতে ডুবেই মারা গেছে? তা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। শোকাতুর এই ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের হালিশহর থানা এলাকায়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ডোবা থেকে আরিয়ানের লাশ উদ্ধারের পর পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। হালিশহর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাতে রাইজিংবিডিকে জানান, হালিশহর ‘এ’ ব্লক বাস স্টেশন সংলগ্ন একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাশের একটি ছোট্ট ডোবা থেকে মেহরাব হোসেন আরিয়ানের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশুটি নানাবাড়িতে বেড়াতে এসে দুই দিন পূর্বে নিখোঁজ হলে থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করে আরিয়ানের পরিবার।

বৃহস্পতিবার নির্মাণাধীন ভবনের জমে থাকা পানিতে একটি শিশুর লাশ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। পরে লাশটি নিখোঁজ শিশু আরিয়ানের বলে শনাক্ত করে পরিবার।

আরিয়ানের মামা আবদুর রহমান বলেন, ২৭ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে আরিয়ান নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজার পর তাকে না পেয়ে থানায় ডায়রি করা হয়। আরিয়ানের বাবা সাইফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, তার সন্তানের লাশ যে ডোবায় পাওয়া গেছে সেখানে সে যাওয়ার কথা নয়। আরিয়ানকে কেউ হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলেছে বলে অভিযোগ করেন জুয়েল।

এদিকে লাশ উদ্ধারের পর থানা পুলিশ ও সিআইডি’র একাধিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছেন। লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। 

সিআইডি চট্টগ্রাম (মেট্রো) অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ জানান, শিশুটি কিভাবে নিহত হয়েছে বা কিভাবে ডোবায় লাশ পাওয়া গেছে তার সব কিছুই তদন্ত করে দেখছে সিআইডি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।