সারা বাংলা

আস্থার প্রতীক যশোরের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র 

যশোরের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নিরাপদ মাতৃত্বের আস্থার প্রতীক। করোনাকালেও চালু ছিলে প্রতিষ্ঠানটির সেবা। সর্বস্থরের মানুষের কাছে আস্থার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

জানা গেছে, সবার জন্য এই কেন্দ্রের সেবা উন্মুক্ত। এই কেন্দ্রর স্টাফরা জানান, ঈদের দিনও তারা রোগীদের সেবা দিয়েছেন।

এই সেবা কেন্দ্রের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, ২০ বেডের এই হাসপাতালটিতে ৩ জন মেডিক্যাল অফিসার, ৩ জন সিনিয়র নার্স ৬ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স ও ২ জন দায় নার্সের প্রয়োজন।  ১ জন করে লোক নিয়ে সেবা অব্যাহত আছে।  প্রতি বছর এই সেবা কেন্দ্র থেকে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার গর্ভবতী মা মাতৃত্বকালীন সেবা পাচ্ছেন।  

ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এই সেবা কেন্দ্র থেকে ১৮১৭ জন মা গর্ভবতী সেবা পেয়েছেন। যশোর ছাড়াও এই কেন্দ্র থেকে সাতক্ষীরা, নড়াইল, মাগুরা ও ঝিনাইদহের রোগীরাও সেবা নিতে আসেন।

তিনি জানান, কোনোরকম খরচ ছাড়ই রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। ওষুধ থেকে শুরু করে রোগীর সুস্থতার সব দায়িত্বই এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র থেকে করা হয়ে থাকে।

নড়াইলের রুপগঞ্জ থেকে আসা আসমা আক্তার জানান, কপারটি মিসিং এর ট্রিটমেন্ট নিতে নড়াইল থেকে তাকে যশোরে পাঠানো হয়েছে।  তিনি সেই সেবা এই কেন্দ্র থেকে পেয়েছেন। যশোর শহরের শংকরপুরের দিনমুজুর ইকবাল হোসেন জানান, তার স্ত্রী গর্ভবতী, বড় ডাক্তার দেখার কোনো অবস্থা তার নেই। তাই তিনি প্রতিবেশি মালিহার মায়ের কথা মতো এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে তার স্ত্রীকে ভর্তি করেছেন।  

তিনি বলেন, ‘এটা গরীবের হাসপাতাল, তাই আমরা এখানেই আসব।’

ডাক্তার আসাদুজ্জামান বলেন, প্রয়োজনীয় জনবল থাকলে সেবার মান আরও ভালো করা সম্ভব হতো। এজন্য তিনি কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।