সারা বাংলা

যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে মারপিট, অটোরিকশার চালকের মৃত্যু

যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়ার দরগাপাড়া এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরকিশা ও ব্যাটারিচালিত অটোবাইক চালকের মধ্যে মারধরে সিএনজি অটোরিকশার চালকের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসির উদ্দিন।

নিহত চালক মিজানুর রহমান সুজন (৩৭) উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের মৃধাপাড়া গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেন মৃধার ছেলে। অভিযুক্ত ব্যাটারিচালিত অটোবাইক চালক কাশেম জমিদার (৬০) দাশুড়িয়ার দরগাপাড়া মুচিপাড়ার মৃত আছের আলী জমিদারের ছেলে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি শেখ নাসির উদ্দিন জানান, মিজানুর রহমান সুজন সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে যাত্রী তোলার উদ্দেশ্যে দাশুড়িয়ার দরগাপাড়ার মুচিপাড়া এলাকায় দাঁড়ায়। এ সময় অপেক্ষামান ব্যাটারিচালিত অটোবাইকের চালক কাশেম জমিদারের সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে কাশেম জমিদার বড় লোহার তালা দিয়ে বেধরক আঘাত করেন মিজানুর রহমান সুজনকে। আহত সুজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।

নিহত সুজনের চাচাতো ভাই রিপন মৃধা জানান, সুজন তাকে ফোন করে জানায় কাশেম তাকে ব্যাপক মারপিট করেছে। তিনি খবর পেয়ে হাসপাতালে যাবার আগেই আবার ফোনে জানতে পারেন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর সুজন মারা গেছে। ওসি আরও জানান,  লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে, খবর পেয়ে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির এবং ঈশ্বরদী থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দিন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান এবং নিহত সুজনের মরদেহ সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করেন।