সারা বাংলা

রংপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ: এএসআই রায়হান ও দুই নারী রিমান্ডে

রংপুরের হারাগাছে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এএসআই রায়হানের ৫ দিন এবং সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়া ও সুরভি আক্তার ওরফে সমাপ্তির ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক স্নিগ্ধা রানী তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। 

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদেরকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। বিচারক ৪ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন।

পুলিশ ব‌্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) রংপুরের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন এসব তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন।

এ মামলায় গ্রেপ্তার করা দুই আসামি বাবুল হোসেন (৩৮) ও আবুল কালাম আজাদ গত ২৮ অক্টোবর আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

পিবিআই ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। পরিচয়ের সময় রায়হানুল তার ডাকনাম রাজু বলে জানান ওই ছাত্রীকে। গত শুক্রবার ওই ছাত্রীকে সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়ার বাড়িতে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন রায়হানুল। পরে রোববার ভাড়াটিয়া মেঘলা ও তার সহযোগী সুরভি আক্তারের সহায়তায় আরও দুজন তাকে ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ তাকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় মেঘলাকে আটক করে পুলিশ। ওই রাতে সুরভিকেও আটক করা হয়।

গণধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে এএসআই রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুসহ দুজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হারাগাছ থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি হারাগাছ থানা থেকে রংপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়।