সারা বাংলা

‘শ্বশুরবাড়িতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় আবিদকে’

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বন্দকাটি গ্রামে স্বামী আবিদ হোসেন বাবুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন স্ত্রী সাবিনা খাতুন।

বুধবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহারের আদালতে সাবিনা এ জবানবন্দি দেন।

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আবিদ হোসেন ওরফে বাবু মোল্যা কালিগঞ্জ উপজেলার নীলকন্ঠপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।

গ্রেপ্তার সাবিনা খাতুন একই উপজেলার বন্দকাঠি গ্রামের মৃত আরশাদ আলী মোড়লের মেয়ে।

সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আবিদ হোসেন বাবুর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন সাবিনা খাতুন। বিয়ের পর থেকে আবিদ হোসেন বাবু শ্বশুর বাড়িতে ঘর-জামাই হিসেবে বসবাস করতেন। তিনি বেকার ছিলেন এবং তারা সাবিনার ভাই পুলিশ সদস্য আরিফের (মাগুরা জেলা পুলিশে কর্মরত) সংসারে থাকতেন।

এ সমস্ত পারিবারিক কারণে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে আবিদের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। ঘটনার রাতে (২ নভেম্বর দিবাগত রাত) স্বামী-স্ত্রী তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া করে। ঝগড়া করে আবিদ হোসেন বাবু ঘর থেকে বাইরে গিয়ে সাবিনার ভাই আরিফ হোসেনের কাছে তার বোনের বিরুদ্ধে নালিশ করেন।

এই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে ও পারিবারিক নানা সমস্যার জের ধরে সাবিনা ও তার ভাই-বোনসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন মিলে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেন। এরপর তার গলায় ফাঁস লাগিয়ে বাড়ির পেছনের এক গাছে ঝুলিয়ে রাখেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আবিদ হোসেন বাবু হত্যার ঘটনায় তার মা হোসনে আরা বেগম মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) রাতে বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার পর সেই রাতেই সাবিনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। কালিগঞ্জ থানার (এস আই) জিয়ারত হোসেন মামলাটি তদন্ত করছেন।

ঘটনার রহস্য উদঘটনে তাৎক্ষণিক জেলা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সাবিনা খাতুনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত আছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।