সাতক্ষীরায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাসান আলী সরদারকে (২৫) কারাগারে না পাঠিয়ে বাড়িতে থেকে নিজেকে শোধরানোর সুযোগ দিয়েছেন আদালত। তবে এ সময় তাকে পাঁচটি শর্ত মেনে চলার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ইয়াসমিন নাহার এ আদেশ দেন।
হাসান আলী সরদার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাদড়া গ্রামের রজব আলী সরদারের ছেলে।
এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ টি এম ফখরুল আলম এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শামছুল বারী।
অ্যাডভোকেট এ টি এম ফখরুল আলম জানান, ৩ কেজি গাজা রাখার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় হাসান আলী সরদারকে এক বছরের প্রবেশন দেওয়া হয়েছে। তবে তাকে পাঁচটি শর্ত মানতে হবে। শর্তগুলো হলো—মাদক বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করা যাবে না। খারাপ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করা যাবে না। প্রবেশনকালে ১০টি গাছের চারা রোপণ করতে হবে। মা-বাবার সেবা করতে হবে। সপ্তাহে কমপক্ষে এক দিন মাদকের বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে হবে (মাদকবিরোধী প্রচারের সময় কী কী উল্লেখ করতে হবে, তাও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে)।
শর্ত ভঙ্গ করলে তাকে আবারও কারাগারে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘এটি সাতক্ষীরার আদালতের একটি উল্লেখযোগ্য আদেশ।’
এদিকে, সাজাপ্রাপ্ত আসামি শর্তগুলো মানছেন কি না, তা তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাতক্ষীরার সমাজসেবা অফিসের প্রবেশনাল অফিসারকে। তিন মাস পর পর তাকে আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।