সারা বাংলা

জমির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত-১৫, আটক-২

পাবনার সাঁথিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রোববার (১৫ অক্টোবর) দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। এ ঘটনায় থানা পুলিশ উভয় পক্ষের দুইজনকে আটক করেছে। 

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার করমজা ইউনিয়নের আফড়া গ্রামের নেকবার আলী ও কাজী লাল প্রামাণিক পক্ষের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার সকালে নেকবার পক্ষের এমদাদুল আফড়া মঙ্গল গ্রাম মাঠে জমি চাষ করতে গেলে জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে কাজীলাল পক্ষের কালু মেম্বরের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে ধাওয়া দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে শনিবার পর্যন্ত দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। 

এরই জের ধরে রোববার সকাল ১০টার দিকে নেকবার পক্ষের লোকজন মাঠে কাজ করতে গেলে কাজীলাল পক্ষ সংগঠিত হয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে নেকবার পক্ষের লোকজনের পিছু হটলে তার বাড়িতে হামলা চালায়। 

এ সময় হামলাকারীরা কমপক্ষে ৫/৬টি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করে। হামলা চলাকালে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে বলে জানা যায়। এতে বাধা দিতে গিয়ে একজন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের সাঁথিয়া, বেড়া, পাবনা ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আওয়ালের ছেলে আরিফ হোসেন গুলিবিদ্ধসহ নেকবার পক্ষের আহতরা হলো— বেল্লাল, জলিল, রহমান, ওসমান, সুরাই, ইমদাদুল, নেকবার, আলিমুদ্দিন, নজরুল, আলতাব, মাইদুল, জাহাঙ্গীর, সোহেল, আবুল, একরাম ও রেহেনা। কাজীলাল পক্ষের আহতরা হলো— কাজীলাল, আরিফ, জমিন ও তোফাজ্জল।

নেকবার পক্ষের বেল্লালের স্ত্রী সাথী খাতুন জানান, প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে বেলাল, জলিল, সোবহান, আয়ুব আলী, ইসলাম, আজিত, মোহাম্মদ আলীর বাড়ি ভাংচুর করে। এ সময়  নগদ ২ লক্ষ টাকা, স্বর্ণালংকার ও ঘরের আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। 

ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সাঁথিয়া থানা পুলিশ কাজীলাল পক্ষের কালু মেম্বার ও নেকবারের পক্ষের বেলালকে আটক করেছে। 

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে দু’দফা পুলিশ পাঠিয়েছি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।