সারা বাংলা

‘বঙ্গবন্ধু চর’ সংরক্ষণের উদ্যোগ, হচ্ছে টহল ফাঁড়ি

বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা ‘বঙ্গবন্ধু চর’ সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সুন্দরবন বনবিভাগ। এরই অংশ হিসেবে সেখানে বনরক্ষীদের টহল ফাঁড়ি স্থাপন করা হচ্ছে।  গত ১৪ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান সরেজমিন চর পরিদর্শন করেন। চরে যেন জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ অক্ষুন্ন থাকে এবং কেউ যেন ক্ষতি করতে না পারে সেইজন্য তিনি সেখানে একটি টহল ফাঁড়ি স্থাপনের নির্দেশ দেন। 

সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. আবু সালেহ বলেন, সেখানে টহল ফাঁড়ি করা হচ্ছে। চরটি বনবিভাগের নীলকমল অভয়ারণ্য কেন্দ্রের আওতায় তদারকি করা হয়। ফাঁড়িও ওই কার্যালয়ের আওতায় থাকবে।

বনবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, জেগে ওঠা চরে ম্যানগ্রোভ বনের বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ জন্ম নিচ্ছে। বন্য পশুপাখিরও বিচরণ দেখা গেছে। সেটি সংরক্ষণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ফাঁড়ি স্থাপিত হলে চরের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও বনের পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখা সম্ভব হবে। 

বন বিভাগের সূত্র জানায়, ১০ বছর আগে চরটি বনবিভাগের দৃষ্টিগোচর হয়। এরপর থেকে সেখানে নিয়মিত তদারকি করছে বনবিভাগ। 

বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বঙ্গবন্ধুর চরের আয়তন প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার। তবে ধারণা করা মনে হচ্ছে, ধীরে ধীরে এর আয়তন বাড়বে। ইতোমধ্যে চরে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার নজর পড়েছে। তারা নিজেদের স্টেশন ও ট্যুরিস্ট স্পট করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ওই চরকে বিরক্ত করা হবে না। 

নতুন এই চর নামকরণ কে বা কারা, কবে করেছে তা বলতে পারেন না বন কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, জেলেরা প্রথম চর আবিষ্কার করেন। এরপর তারা ‘বঙ্গবন্ধু চর’ বলে ডাকতেন। সেই থেকে ওই নামে পরিচিতি পায়।