সারা বাংলা

নীলফামারীতে অগ্রহায়ণ মাসেই শীতের দাপট

প্রকৃতিতে এখন হেমন্ত ঋতুর মধ্যভাগ। আরও তিন সপ্তাহ পরে শুরু হবে শীতকাল। তবে এ বছর অগ্রহায়ণ মাসেই শুরু হয়ে গেছে শীতের দাপট। নীলফামারী জেলায় সারারাত শিশির পরার পর সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় চারদিক আচ্ছন্ন থাকে। সেইসঙ্গে হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়।

জেলার তাপমাত্রা ক্রমশ কমছে। ডিমলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) সকালে জেলায় ১৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। 

শীত বাড়ায় গরম কাপড়ের অভাবে বেশি কষ্টে রয়েছে খেটে খাওয়া অভাবী মানুষ। সকালে ঘন কুয়াশায় হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে বাস-ট্রাক, ট্রেনসহ যানবাহন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসছে। 

ডোমার উপজেলার বসুনিয়া গ্রামের কৃষক মোসলেম উদ্দিন ও হাসিনুর রহমান বলেন, এবার আগে আগে শীত পড়ে গেছে। সকালে ফসলের ক্ষেতে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। 

ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদীর ঝাড়শীঙ্গের চরের বাসিন্দা আব্দুল হামিদ, কালাম হোসেন ও সুফিয়া খাতুন বলেন, তিস্তা নদীর পাড়ে শীত একটু বেশিই। তারা গরিব মানুষ, গরম কাপড় না থাকায় কষ্টে আছেন। 

সৈয়দুপর উপজেলার কামাড়পুকুর গ্রামের তৈয়বুর রহমান ও আব্দুল আলীম বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে বেশি শীত পড়ছে। দিনে রোদ আর রাতে বেশি ঠান্ডা পড়ছে। জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ি গ্রামের বৃদ্ধ আজিজুর রহমান বলেন, বেশি ঠান্ডায় খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। 

ডোমার উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ইব্রাহীম বলেন, দিন ও রাতের তাপমাত্রা বিপরীত হওয়ার কারণে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তারা সাধ্যমত চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।

জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে  তালিকা নিয়ে শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতের কাপড় বিতরণ করা হবে।