সারা বাংলা

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে ভোলার জ্যাকব টাওয়ার

দ্বীপ জেলা ভোলা সদর হতে চরফ্যাশন উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। চরফ্যাশন পৌরসভা সংলগ্ন এলাকায় তৈরি করা হয় দৃষ্টিনন্দন জ্যাকব টাওয়ার।

ওই টাওয়ারকে ঘিরে এ উপজেলায় পর্যটকদের পদচারণা বৃদ্ধি পাচ্ছে। টাওয়ারটি অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা হতে  পর্যটকরা এখানে আসেন।

জানা গেছে, ১৭ তলা দৃষ্টিনন্দন জ্যাকব টাওয়ারটি ২০১৩ সালে কাজ শুরু হয়ে ২০১৮ সালে কাজ সম্পূর্ণ হয়। এ টাওয়ারটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয় ২০ কোটি টাকা। চরফ্যাশন-মনপুরা সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ ইসলাম জ্যাকব এর নামে নামকরণ করা হয় এ টাওয়ারের। ২০১৮ সালে এর উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি। এরপর হতে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় টাওয়ারটি।

এ টাওয়ারে ওপর হতে বাইনিকুলারের মাধ্যমে মেঘনা, তেতুলিয়া ও বঙ্গ সাগরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এছাড়া চর কুকরি মুকরিসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলা হতে পর্যটকরা আসেন। টাওয়ারে দিনের চেয়ে রাতের দৃশ্য সবাইকে আকৃষ্ট করে।

ভোলা সদর হতে ঘুরতে আসা মে. মামুন ও রিয়াজ বলেন, ‘যখনই একটু সময় পাই। তখনই চরফ্যাশন ঘুরতে চলে আসি। জ্যাকব টাওয়ারের রাতের সৌন্দর্য আমাদের কাছে অনেক ভালো লাগে।’

ঢাকা হতে ঘুরতে আসা আ. করিম বলেন, ‘যখনই সময় পাই সপরিবারে চরফ্যাশন ঘুরতে চলে আসি। চরফ্যাশন আত্মীয় বাড়িও আছে। সেই কারণে টাওয়ারের সৌন্দর্য আমার ছেলে মেয়েরা খুব পছন্দ করেন। আগে ওরা চরফ্যাশন আসতে চাইতো না। এ টাওয়ার হওয়ার পর থেকে ওরাই বেশি আসার জন্য বায়না করে।’

চরফ্যানের সিনিয়র সাংবাদিক আমির হোসেন বলেন, ‘জ্যাকব টাওয়ার উপভোগ করার জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা হতে পর্যটকরা আসেন। এ টাওয়ারটি জন্য চরফ্যাশন উপজেলাকে মানুষ নতুন করে চিনছেন। সবাই এসে ছবি তোলার জন্য ব্যস্ত থাকেন। লিফটের মাধ্যমে ১৭ তলায় উঠে সবাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন।’