সারা বাংলা

২ যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

রাজশাহীর তানোরে চোর সন্দেহে দুই যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তাদেরকে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে রাতভর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে বলে স্বজনরা অভিযোগ করেছেন।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনায় নির্যাতিত ফিরোজ কবীরের বাবা ইসাহাক আলী দেবিপুর গ্রামের বেলাল  হোসেনের ছেলে আবদুর রহিমকে প্রধান করে ১১ জনের নামে তানোর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এর আগে সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় ওই দুজনকে রাজশাহী মেডিক‌্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি )রাকিবুল হাসান বিষয়টি জানিয়েছেন।

আহতরা হলেন— মোহর গ্রামের ইসাহাক আলীর ছেলে সেলুন কর্মচারী ফিরোজ কবীর (২৪) এবং একই এলাকার আমজেদ আলীর ছেলে ট্রলিচালক জসিম উদ্দীন (২৮)।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত ৯টার দিকে দেবিপুর গ্রামের জহুরা বেগমের বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়িতে ফিরছিলেন ফিরোজ কবীর এবং জসিম উদ্দিন। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রহিমসহ আরও কয়েকজন চোর চোর বলে চিৎকার শুরু করেন।

এরই মধ্যে লোকজন জড়ো হয়ে তাদের কাছে থাকা মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করে এবং  তাদেরকে আটকে ঘটনাস্থলেই লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন শুরু করে। রাতভর নির্যাতনের পর তাদের বেঁধে রাখে।

অভিযোগে আরও জানা গেছে, সোমবার সকালে তালোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, হাসান ও মামুন মেম্বারসহ আরও কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আবার তাদেরকে মারপিট করেন এবং গ্রামে চুরি করার কথা স্বীকার করানোর চেষ্টা করা হয়। তবে ফিরোজ ও জসিমের শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে একটি মুচলেকা নিয়ে দুজনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে রহিমকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দিয়েছেন ফিরোজের বাবা ইসাহাক আলী।

ওসি রাকিবুল হাসান জানান, মারধরের অভিযোগে ১১ জনসহ আরও কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।