সারা বাংলা

ধর্ষণের পর কিশোরীকে যৌনপল্লীতে বিক্রির চেষ্টা, দুলাভাই গ্রেপ্তার

রাজবাড়ীর কালুখালীতে ধর্ষণের পর দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রি চেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগী কিশোরীর চাচাত দুলাভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 

এর আগে অভিযুক্ত মাসুদ ফকিরকে (২৭) আটক করে পুলিশ। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মাসুদ ফকির কালুখালী উপজেলার দুর্গাপুর এলাকার আব্দুল জলিল ফকিরের ছেলে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ভুক্তভোগী নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী। কালুখালীর সানি নামে এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) রাতে সানির সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে মাসুদ ফকির ওই কিশোরীকে কালুখালী রেলওয়ে স্টেশনের পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি ঘরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে। 

শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সকালে মাসুদ ওই কিশোরীকে জানায় সানি গোয়ালন্দ ঘাট (দৌলতদিয়া) রেলওয়ে স্টেশনে আছে। পরে তাকে নিয়ে মাসুদ ফকির দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর এক নম্বর গেটের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে অচেনা দুই ব্যক্তি মাসুদ ফকিরের সঙ্গে কথা বলে। এসময় তারা মাসুদের হাতে কিছু টাকা দেয়।

এরপরই ওই কিশোরীকে নিয়ে মাসুদ যৌনপল্লীর ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। তবে পল্লীর মেয়েদের দেখে সন্দেহ হলে ভিতরে ঢুকতে আপত্তি জানায় ওই কিশোরী। 

জোর করে ভেতরে নেওয়ার চেষ্টা করলে স্কুলছাত্রী চিৎকার করে। তখন স্থানীয়রা ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। একইসঙ্গে মাসুদ ফকিরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

ওসি আবদুল্লাহ বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা স্বীকার করেছে মাসুদ ফকির।’