সারা বাংলা

শাহমখদুম মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের অবস্থান, সনদ ফেরতের দাবি

রাজশাহীর বেসরকারি শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এবার শিক্ষার্থীদের সনদ ও নম্বরপত্র আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজটিতে ভর্তির সময় এসএসসি ও এইচএসসির এ সব সনদপত্র ও নম্বরপত্র জমা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। তারা এখন মাইগ্রেশন করে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করলেও শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ সনদ-নম্বরপত্র ফেরত দিচ্ছে না।

এ নিয়ে রোববার (১০ জানুয়ারি) সকাল থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বিরুদ্ধে। 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা মাইগ্রেশন করে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু সনদ-নম্বরপত্র জমা দিতে পারেননি। সনদ ও নম্বরপত্র ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত এখান থেকে তারা উঠবেন না।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদনহীন এই মেডিকেল কলেজে কয়েক দফায় ২২৫ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। গত ২ নভেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রাণলয় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের অন্য কোনো মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।

কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানায়। এরপর ২৮ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনে আসার কথা জানায়। এর আগে ২৬ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাসে ঢুকতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়। এ সময় তাদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে। এতে অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা হয়। প্রতিষ্ঠানটির এমডি মনিরুজ্জামান স্বাধীন এ মামলায় আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে রিট করে। এতে প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখার দাবি জানানো হয়। আদালত বলেছেন, যেসব শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে মাইগ্রেশন করে ফেলেছেন, তাদের সনদ ও নম্বরপত্র ফেরত দিতে হবে। আমরা ২০৩ জন ইতোমধ্যে অন্য কলেজে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু আমাদের কাগজপত্র ফেরত দেওয়া হচ্ছে না।’ 

এ বিষয়ে কথা বলতে শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজে গেলে এমডি মনিরুজ্জামান স্বাধীনকে তার অফিসে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।