সারা বাংলা

একটি সেতুর জন্য

একটি কাঠের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ১৭ ইউনিয়নের অন্তত ১৫ লাখ মানুষকে।  

সাঁকোটিতে যোগাযোগ রক্ষা হচ্ছিলো গাইবান্ধার দুই উপজেলার সাথে জেলা শহরের। যাতায়াতকারীদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী ও শহরমুখী কর্মজীবী।

গাইবান্ধা শহর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার উত্তরে ভেড়ামারা রেল সেতুর পাশের ‘কিসামত বালুয়া’গ্রামের বুক চিরে বয়ে গেছে মরা ঘাঘট নদী। দীর্ঘদিন ধরে এই নদীর উপর কোন সেতু বা ব্রিজ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেলসেতু পার হয়ে লোকজন জেলা শহরে আসা যাওয়া করতো।

মানুষের দুর্ভোগ ও যোগাযোগের সমস্যা লাঘবে দু’পাশের গ্রামবাসীর উদ্যোগে চাঁদা তুলে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ঘাঘট নদীর উপর রেলসেতুর পাশে একটি কাঠের সাঁকো তৈরি করেন। গাইবান্ধার বল্লমঝাড়, কুপতরা, খোলাহাটি, লক্ষিপুর, সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাংগা, কামারপাড়া, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাংগা, রামজীবন, শোভাগঞ্জ সহ ১৭টি ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম এই সাঁকো।

সুন্দরগঞ্জের সোনারায় ইউনিয়নের আব্দুর রহমান চাকরি করেন গাইবান্ধায়। জানালেন, সারা বছর মোটরসাইকেলে তিনি বাড়ি থেকে অফিসে যাচ্ছেন। কিন্তু সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় তাকে ৭ কিলোমিটার পথ ঘুরে শহরে আসতে হচ্ছে।

কিসামত বালুয়া গ্রামের বাসিন্দা সাবেক মেম্বার আবুল হোসেন আক্ষেপ, সারাজীবন নিজেদের টাকা দিয়ে কাঠের  সাঁকো তৈরি করে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। বৃদ্ধ বয়সে এসেও পাকা ব্রিজ আর দেখা হলো না । আজও সাঁকোটির বেহাল দশা ।

জানা যায়, ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে সাঁকোটির একটি অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। তার পর থেকে অস্থায়ী ভাবে একটি বাঁশ দিয়ে হাঁটা পথে যোগাযোগ রক্ষা হয়। কিন্তু বর্তমানে এই পথে মানুষ চলাচল করা দু:সাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাফিউল আলম বলেন ,এলজিইডির অর্থায়নে শিগগিরই এই নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ উদ্যোগ নেওয়া হবে।