সারা বাংলা

চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা ১১শ’ টন পেঁয়াজ নিলামে

দাম কমে যাওয়ায় আমদানি করা পেঁয়াজ বন্দর থেকে খালাস না নেওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে নিলামে উঠছে ১১’শ টন পেঁয়াজ। ২০টি লটে পেঁয়াজের ই-অকশন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ জানুয়ারি।

এর আগে আগামী রোববার ও সোমবার দুই দিন ই-নিলামে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহীরা সরেজমিনে পেঁয়াজের লট পরিদর্শন করতে পারবেন।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উদ্যোগে আয়োজিত এই নিলামে পেঁয়াজের লট অনুযায়ী ছবি ও মূল্য কাস্টমস-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের নিলাম শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন আমদানি করা ১১’শ টন পেঁয়াজ নিলামে তোলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের ৪৫ দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট আমদানিকারককে তার পণ্য কাস্টমস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে খালাস নিতে হয়। এর মধ্যে খালাস না নিলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এসব পণ্য নিলামে তুলতে পারে। এরই ধারাবাহিকতায় খালাস নেওয়ার নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ায়, চিঠি দিয়েও আমদানিকারকের সাড়া না পাওয়ায় বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানিকৃত ২০টি লটে ১১শ টন পেঁয়াজ নিলামে তোলা হচ্ছে। এসব পেঁয়াজের মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা।

বন্দর সূত্র জানায়, দেশে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্য বৃদ্ধি পেলে চীন, নিউজিল্যান্ড, মিশর, পাকিস্তান এবং তুরস্ক থেকে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানি করেন। কিন্তু বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের মূল্য কমে যাওয়ায় এসব পেঁয়াজ আর খালাস নেননি আমদানিকারকরা। এর ফলে কন্টেনারেই অনেক পেঁয়াজে চারা গজিয়ে গেছে। অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এসব পেঁয়াজ নিলামে বিক্রি করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

সাখাওয়াত হোসেন আরও জানান, এবার দ্বিতীয়বারের মতো চট্টগ্রাম কাস্টমস-এর ই-নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। আগ্রহী অংশগ্রহণকারীরা ঘরে বসেও নিলামে অংশ নিতে পারবেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করে রেজিস্ট্রেশন করলেই ঘরে বসে কম্পিউটারের মাধ্যমে নিলামে বিট করে কাঙ্ক্ষিত পণ্য কিনে নিতে পারবেন।