নোয়াখালীর হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে এক পল্লী চিকিৎসককে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ভাইরাল করার ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ এজাহারভূক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন এ বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপার জানান, গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া নারীকে বিবস্ত্র ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদ সঠিক নয়।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ ঘটস্থলে গিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও নির্যাতনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তারা জানান, গত ১ জানুয়ারি অনৈতিক কাজে লিপ্ত রয়েছে সন্দেহ করে স্থানীয় লোকজন এক নারী ও স্থানীয় পল্লী মহিউদ্দিন চিকিৎসকে আটক করে। মহিউদ্দিন পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে পুনরায় আটক করে টেনে হিছড়ে কিছু উত্তেজিত জনতা নির্যাতন করে।
এসময় এলাকার কিছু উৎশৃঙ্খল বখাটে যুবক অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে স্থানীয় ওই পল্লী চিকিৎসক ও একজন গৃহবধূকে মারধর করে। পরে তাদেরকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধেও মারধর করে তারা। এক পর্যায়ে পুরুষ নির্যাতনের ঘটনাটি তারা মোবাইলে ধারণ করে এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়।
সংবাদ সম্মেলন পুলিশ সুপার আরও বলেন, এই ঘটনায় নির্যাতনকারী পল্লী চিকিৎসক মহিউদ্দিন গতকাল থানায় ১১ জনকে উল্লেখ করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন— হাতিয়া উপজেলার চানন্দি ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের জিহাদ(৩০), ফারুক(৩০), নবীর উদ্দিন প্রকাশ হোন্ডা নবীর (৩২), আলোমগীর হোসেন (৪০) ও আবু তাহের (২৭)।