সারা বাংলা

শ্রীনগরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছেন ৭০ পরিবার

জমিসহ পাকা ঘর পাবো তা জীবনে কল্পনাও করিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আমাদের কল্পনাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এখন অন্তত মরার আগে মাথা গোঁজার ঠাই নিয়ে চিন্তা করতে হবে না—  কথাগুলো বলছিলেন মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জমিসহ ঘর পেতে যাওয়া শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়িখাল ইউনিয়নের হাতারপাড়া গ্রামের অন্ধ মো. জালাল আহমেদ (৬৫)।

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জালাল আহমেদের মত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উপহার পাচ্ছেন শ্রীনগর উপজেলার মোট ৭০ পরিবার। মাথা গোঁজার স্থায়ী আবাসন পেয়ে দারুণ খুশি ভূমিহীন হতদরিদ্র পরিবারগুলোর সদস্যরা।

আগামী ২৩ জানুয়ারি ভার্চুয়াল মিটিং- এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন এসব পরিবারকে জমি ও পাকা ঘর প্রদানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদেরকে দুই শতাংশ জমির রেজিস্ট্রি দলিলসহ এই ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে শ্রীনগরে এসব ঘর নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সরকারি খাস জমির ওপর ভূমিহীনদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আধুনিক আবাস। এসব অসহায় পরিবারদেরকে শুধু ঘর নয়, ঘরের সঙ্গে রয়েছে রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা। ঘর নির্মাণে মান নিশ্চিত করার কথা বিবেচনা করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ না করে উপজেলা প্রশাসন নিজেদের তদারকির মাধ্যমে তা নির্মাণ করে দিচ্ছে। ফলে কম খরচে ভাল মানের ঘর নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

শ্রীনগর উপজেলায় জায়গাসহ ৭০টি ঘরের মধ্যে রাঢ়িখাল ১৫টি, শ্রীনগর ১০টি, আটপাড়া ১০টি, বাড়ৈখালী ৭টি, হাঁসাড়া ২টি, কুকুটিয়া ৭টি,বাঘড়া ৭টি, ভাগ্যকুল ৭টি ও ষোলঘর ইউনিয়নে ৫টি ঘর রয়েছে। উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের ৫টির মধ্যে বীরতারা ইউনিয়নের ২টি ঘর সম্পৃক্ত রয়েছে।

শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার জানান, আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার- এই স্লোগানকে সামনে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প ২-এর আওতায় শ্রীনগর উপজেলায় ৭০টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগে উপজেলার সংশ্লিষ্টরা যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রেখেছেন । মহান এই কর্মযজ্ঞে সম্পৃক্ত হতে পেরে ধন্য মনে করছি।