সারা বাংলা

সবুজে ঘেরা ‘সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়াম গ্রাউন্ড- টু’ উদ্বোধন

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অভিষেক হয়েছে অনেক আগে। ফুটবলেও ফিফার অনুমোদন নিয়ে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের খাতায় নাম উঠেছে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের। এবার আরও একটি আন্তর্জাতিক মানের গ্রাউন্ড পেয়েছে বিভাগীয় এ শহর।

শহরতলীর লাক্কাতুড়ায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশেই ‘আউটার স্টেডিয়াম’ হিসেবে প্রথমে এ গ্রাউন্ডের নামকরণ করা হয়। তবে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর ‘সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম গ্রাউন্ড-টু’ নামেই উদ্বোধন করা হয়েছে এ মাঠের।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সবুজে ঘেরা নয়নাভিরাম এ গ্রাউন্ডের উদ্বোধন ঘোষণা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। এছাড়াও মন্ত্রী একই অনুষ্ঠানে জেলা স্টেডিয়ামের ভিআইপি ভবন উদ্বোধন করেন।

আন্তর্জাতিক মানের সকল সুযোগ-সুবিধা থাকায় এনএসসি ও বিসিবি ইতোমধ্যে এ গ্রাউন্ডটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আইসিসির কাছে আবেদন করেছে বলে জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সিলেট ক্রিকেট গ্রাউন্ডস-২’র আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)-এর আবেদন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি শিগগিরই আইসিসির কাছ থেকে আন্তর্জাতিক ভেন্যু হিসেবে এটির স্বীকৃতি পেয়ে যাবো।’

তিনি এও বলেন, ‘সিলেট ক্রিকেট গ্রাউন্ডস-২’- যেহেতু আন্তর্জাতিক মানের করে তৈরি করা হয়েছে, তাই এর স্বীকৃতি পেতে দেরি হবে না বলে আমাদের আশা।’

অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকার পরেই পর্যটন নগরী নয়নাভিরাম সিলেটকে আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের হাব হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রায় ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ‘সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম গ্রাউন্ডস-২’ এর উদ্বোধন করা হচ্ছে। এছাড়াও সিলেট জেলা স্টেডিয়ামকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অর্থায়নে ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮.৭৩ একর জায়গা জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে ‘সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম গ্রাউন্ড-টু’। এই গ্রাউন্ডটি সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক আদলে তৈরি। মাঠের পুরোটাই জুড়ে পানি পরিশোধনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বিশ্বমানের। রয়েছে ৮টি উন্নত মানের স্পোর্টিং উইকেট।

নতুন এই গ্রাউন্ডটিতে রয়েছে চারটি উন্নত মানের ড্রেসিং রুম। খেলোয়াড়দের জন্য আইস বাথসহ থাকছে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। এছাড়াও সাংবাদিক, আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারিসহ অফিসিয়ালদের জন্যও থাকছে পৃথক রুম। স্টেডিয়ামের পাশেই রয়েছে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একাডেমিক ভবন। বিসিবির আঞ্চলিক একাডেমির ক্রিকেটাররা থাকবেন সেই ভবনে।

গ্রাউন্ড-১ এর সঙ্গে গ্রাউন্ড-২ এর সংযোগ স্থাপনে নির্মাণ করা হয়েছে ‘আয়রণ ব্রিজ’। নামাজ আদায়ের জন্য মাঠের পাশে এরই মধ্যে মসজিদের উদ্বোধন করা হয়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিসিবি পরিচালক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।