আগামী বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজ সোমবার (২৫ জানুয়ারী) রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে প্রার্থীদের প্রচারণা। প্রচারণার শেষ দিনে এসে ভোটারদের মন জয় করতে মরিয়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত দুই মেয়র প্রার্থী।
মহানগরীর সবগুলো ভোট কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে ভোট নেওয়া হবে। তাই আজ সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রে পরীক্ষামূলক ভোটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি সিটি করপোরেশনের ভোট নেওয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে কেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হবে।
তিনি বলেন, ইভিএম মেশিনে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে সাধারণ ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে এবং ভোট দিতে কেউ যেনো সমস্যায় না পড়ে সেই লক্ষ্যে আজ দিনব্যাপী প্রকৃত নির্বাচনের আদলে মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ভোটাররা নিজ নিজ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া জেনে নিতে পারছেন।
এদিকে, প্রচারণার শেষ দিনে ভোটারদের মন জয় করতে তাদের দ্বারে দ্বারে গেছেন আওয়ামীলীগ ও বিএনপি মনোনীত দুই মেয়র প্রার্থী। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী থাকলেও মাঠে রয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাচনি শেষ গণমিছিলের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা। একইভাবে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে জনসংযোগ ও নির্বাচনি প্রচারণা মিছিল করছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা, শাহাদাত হোসেন।
আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী রাইজিংবিডিকে বলেন, বর্তমানে নির্বাচনের সুষ্ঠু এবং সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এবং চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চট্টগ্রাম নগরবাসীকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পক্ষান্তরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভোটাররা ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে ধানের শীষ বিপুল ভোটে জয়ী হবে।
ডা. শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্নস্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশি হয়রানি করছে। এরপরও বিএনপি ভোটের মাঠে রয়েছে। চট্টগ্রাম নগরবাসীকে সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে আহ্বান জানান বিএনপি এই প্রার্থী।
এদিকে, নির্বাচন পূর্ববর্তী ও নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নামছে আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য। এর মধ্যে প্রায় ৯ হাজার পুলিশ সদস্যসহ গোয়েন্দা পুলিশ, বিশেষায়িত সোয়াত টিম, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, র্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪১টি ওয়ার্ডে মোট ভোট কেন্দ্র ৭৩৫টি। মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। তাদের মধ্যে নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন এবং পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন।