সারা বাংলা

‘চোরায় শোনে না ধর্মের কাহিনী’

‘আমরা বিকেল থেকে চেষ্টা করেছিলাম, বুঝিয়েছিলাম বলেছিলাম এই জনসভায় এসে শাহাদাত তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নৌকার পক্ষে কাজ করুক। কিন্তু চোরায় না শোনে ধর্মের কাহীনি।’ এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

বরগুনা পৌরসভার নির্বাচন উপলক্ষে দলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট কামরুল আসহান মহারাজের সমর্থনে পথসভার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নানক বলেন, ‘কামরুল আহসান মহারাজকে ২০১৫ সালে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। আবারও তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার মনোনয়ন কেন দিয়েছেন আপনাদের বুঝতে হবে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী মহারাজকে মেয়র হিসেবে আপনাদের এখানে দেখতে চান। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মহারাজকে নির্বাচিত করলে রেমন্ড নয়, বরগুনা হবে ডায়মন্ড বরগুনা।’

তিনি বলেন, ‘আমি সকালে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে বরগুনা যাওয়ার কথা বলি- তখন তিনি আমাকে বলেন, তোমরা যাও, ওটা আমার বরগুনা, তোমরা গিয়ে মহারাজকে ভোট দেয়ার জন্য অনুরোধ করো।’ 

স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য নানক বলেন, ‘আমি শাহাদাত হোসেনের বেয়াইকে ডেকে বলেছি, শাহাদাতকে বুঝিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করান। এখনও সময় আছে, শাহাদাতের বোধোদয় হোক। প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করুন।’

পরে তিনি সমবেত জনতা নিয়ে নৌকার শ্লোগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন। 

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে বরগুনা শহরের সিদ্দীক স্মৃতি মঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীরের সভাপতিত্বে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক ছাড়াও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাসিম ও বরিশাল বিভাগের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন বক্তব্য রাখেন। 

বাহাউদ্দীন নাসিম বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের সমালোচনা করে বলেন, ‘একই ব্যক্তি যিনি সেবক হওয়ার ওয়াদা করে, রক্ষক হওয়ার ওয়াদা করে রক্ষক না হয়ে ভক্ষক হয়। বরগুনার মানুষ অন্তত তাকে ভোট দিতে পারে না। দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে আজ বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সকল সহযোগী সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই বিশাল জনসমাবেশ এটাই প্রমাণ করে আগামী ৩০ জানুয়ারি বরগুনায় নৌকা মার্কা বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করবে। আপনারা প্রমাণ করে দেবেন, বরগুনায় কোনো অখ্যাত দুর্নীতিবাজের স্থান নেই।’

আফজাল হোসেনও শাহাদাত হোসেনের সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন। তিনি নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে বলেন, ‘আপনারা উন্নয়নের স্বার্থে, শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচিত করুন। উন্নয়নের দায়িত্ব আমাদের।’   এর আগে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ বক্তব্য রাখেন। তিনি ৩০ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। 

পথসভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ছাড়াও কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুভাষ হাওলাদারসহ যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৫ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকুর সঞ্চালনায় বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ, বরগুনা ও পটুয়াখালী  জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।