সারা বাংলা

সিলেটে প্রথম ধাপে যাচ্ছে ৪৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন

সিলেট বিভাগের চার জেলায় প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৪৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পাঠানো হবে।

ভ্যাকসিন রাখার জন্য জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্প্রসারিত টিকাদান প্রোগ্রাম (ইপিআই) ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আর এ টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে সিলেট জেলায় ৮ সদস্যের  এবং মহানগরে ২২ সদস্যের পৃথক দুটি কমিটিও করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য বিভাগ, সিলেট-এর সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।

ডা. আনিসুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডিস্ট্রিবিউশন পরিকল্পনা অনুসারে সিলেট বিভাগের চার জেলায় প্রায় সাড়ে ১০ লাখ জনকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে। এরমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩৭ কার্টুন ভ্যাকসিন আসবে। প্রতি কার্টুনে থাকবে ১ হাজার ২০০ করে ভ্যাকসিন।

এর মধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় ৫ কার্টুন, হবিগঞ্জ জেলায় ৬ কার্টুন এবং  সুনামগঞ্জ জেলার জন্য ৭ কার্টুন ভ্যাকসিন পাঠানো হবে। আর সিলেট জেলার জন্য ১৯ কার্টুন ভ্যাকসিন বরাদ্দ থাকবে। সিলেটের ডেডিকেটেডেট  করোনা আইসোলেশন সেন্টার শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে প্রথমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, টিকা দান কার্যক্রম সফল করতে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ২২  সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। একইভাবে জেলা প্রশাসক এম কাজি এমদাদুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডলকে সদস্য সচিব করে জেলা পর্যায়ের ৮ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।

সিলেট মহানগর এলাকার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪টি ও শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ৮টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। প্রত্যেক টিকাদান কেন্দ্রে ২ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ৪ জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। টিকাদান পরবর্তী শারীরিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ৭ সদস্যের একটি মেডিক‌্যাল টিম থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।