সারা বাংলা

বসন্তকে স্বাগত জানাচ্ছে আমের সোনালি মুকুল

খুলনা নগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে গাছে গাছে আমের মুকুল শোভা পাচ্ছে। আগাম আসা সোনালি মুকুলে ছেয়ে যাওয়া আমগাছগুলো নগরীতে আলাদা শোভা ছড়িয়েছে। যেন স্বাগত জানাচ্ছে বসন্তকে।

নগরীর টুটপাড়া, নিরালা, শের-এ-বাংলা রোড, বি কে রায় রোড, নর্থ খাল ব্যাংক রোড, খানজাহান আলী রোড, মুজগুন্নী, খালিশপুর ও দৌলতপুর এলাকার গাছগুলোতে সবচেয়ে বেশি আমের মুকুল দেখা যাচ্ছে।  কোনো কোনো গাছে আমের মুকুল থেকে বেরিয়েছে ছোট ছোট আমগুটিও। 

সরেজমিনে দেখা যায়, খুলনার কালেক্টরেট চত্বরের সহকারি কমিশনারের (ভূমি) অফিস ভবনের সামনে একটি গাছে ব্যাপক আম মুকুল গোটা এলাকায় শোভা ছড়াচ্ছে। শীতের হাওয়ায় দোল খাওয়া মুকুল দোল দিয়ে যাচ্ছে এখানে আসা নগরের মানুষের মনেও। 

এছাড়া শহরের বাইরে পাইকগাছা,  রূপসা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, কয়রা, ফুলতলা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলায় শোভা ছড়াচ্ছে আমের মুকুল। 

দৌলতপুর এলাকার আমচাষি মো. শফিকুল সরদার বলেন, সব গাছে মুকুল আসেনি। কয়েকদিনের মধ্যেই মুকুল আসবে। তবে তীব্র শীতে যেসব গাছে মুকুল এসেছে, তা থেকে ফল হবে কি না-এ নিয়ে শঙ্কায় আছি।

নগরীর জোড়াকল বাজার এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ কুমার মণ্ডল বলেন, আম গাছে আগাম মুকুল দেখে ভালো লাগছে বেশ। বাতাসে মিশে চারদিকে মৌ মৌ গন্ধ ছড়াচ্ছে।

ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, বেশ কিছু এলাকায় আমগাছ আগাম মুকুলে ছেয়ে গেছে। কোনো কোনো গাছে আমের মুকুল থেকে বেরিয়ে এসেছে ছোট ছোট আমগুটি।  আবহাওয়া পরিবর্তন অর্থাৎ যে আবহাওয়াটা মুকুল হওয়ার জন্য দরকার সেটা আগেই পাওয়ায় আগাম মুকুল এসেছে। এছাড়া আগাম জাতের গাছেও আগাম মুকুল আসে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, প্রায় ২৫ শতাংশ আম গাছে মুকুল এসেছে। আগামী মাসের মধ্যে সব গাছে মোটরদানার মতো আমের গুটি চলে আসবে। খুলনা অঞ্চলে নিয়মিত জাত আম্রপালি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, হিমসাগর, খিরসাপাত, আশ্বিনা ও হাইব্রিড জাতের গাছ বেশি লাগানো হয়েছে। 

তিনি বলেন, বর্তমানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা রয়েছে। এতে মুকুলের কোন ক্ষতি হবে না।  মূলত গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেই মুকুলের ক্ষতি হয়।