সারা বাংলা

চাঁদপুরে লঙ্ঘিত হচ্ছে ভোক্তার অধিকার

চাঁদপুরে অসাধু চক্রের দাপটে নানাভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে ভোক্তাদের অধিকার। অথচ এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিদপ্তরের তেমন কোন কার্যক্রম নেই বলে অভিযোগ সচেতন নাগরিক কমিটির।

বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা জানান, চাঁদপুরে ভোক্তা অধিদপ্তরের কোন প্রচার বা নির্দেশনা কোথাও চোখে পড়ছে না। ফলে সাহায্য পেতে মানুষ তাদের দ্বারস্থ হতে পারছে না। ভোক্তা অধিদপ্তরের ফোন নম্বর প্রতিটি হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টানিয়ে দিলে মানুষ তাদের কাছে জরুরী অভিযোগ জানাতে পারতো। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ভবনের ২য় তলায় ছোট একটি কক্ষে ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যালয়। সেখানে মাত্র ২ জন লোক এই অধিদপ্তরের জনবল হয়ে কাজ করছেন। 

মানুষের অভিযোগ নিয়ে আলাপ হয় জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুর হোসেনের সঙ্গে।  জানালেন, নিয়মিত বাজার তদারকি, অভিযান চালানোসহ লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তি করে আসছেন৷ পাশাপাশি সচেতনতা তৈরিতে ভোক্তা অধিকার আইনেরও প্রচার করছেন।

গত ১১ জানুয়ারি তিনি চাঁদপুর শহরের চেয়ারম্যান ঘাট বাজারে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছেন। যেজন্য হোটেল ক্যাফে নূরকে ২০ হাজার, মাহিম কম্পিউটারকে ১ হাজার, মদিনা ফার্মেসিকে ১ হাজারসহ এই ৩ প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ২২ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করেছেন।

তিনি জানান, ২০২০ সালেও ২শ ৫টি অভিযান করেছেন।  যেখানে ৪শ ৩৮টি দণ্ডিত প্রতিষ্ঠান থেকে ১১ লাখ ২৯ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।

জনবল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের জনবল যাই-হউক প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করছি।  ভোক্তাগণ ইমেইলে, সরাসরি কল করে, ওয়েব এড্রেসে গিয়ে কিংবা আমাদের অফিসে এসেও অভিযোগ দায়ের করে যেতে পারবেন।  আমরা অসাধুদের জাল-জালিয়াতি রোধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।  

তিনি ভোক্তাদের সচেতন করতে অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি সম্পর্কে বলেন, ধরুন- একটা রেস্তোরাঁয় খেতে গেলেন।  যেখানে বিক্রেতাগণ খাবার পানি বা কোমল পানীয় সর্বোচ্চ খুচরা দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে।  তাহলে আপনি সেই ক্রয় রসিদসহ ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।  কারণ, বেশি মূল্যে বিক্রি করা আপনার ভোক্তা অধিকারের লঙ্ঘনের শামিল। আবার কোনো পণ্য কিনলেন, কিন্তু সেটা কেনার পর দেখা গেল ওটা ভেজাল বা নকল পণ্য। সে ক্ষেত্রেও ভোক্তাগণ অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।