সারা বাংলা

সালিশে চেয়ারম্যানকে চড় মারার ঘটনায় আটক ৩

সালিশে গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেনকে চড় মারার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তাদের আটক করা হয়।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটকরা হলেন— সবুর, জামাল ও কামাল। তাদের বাড়ি উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের খামার পাথুরিয়া রায়পুর গ্রামে।

ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে, ওই হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ চাঁচকৈড় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে সংবাদ সম্মেলন করে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ‌্যাড. আনিসুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে চাঁচকৈড় বাজারে বিক্ষোভ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী অভিযোগ করে জানান, সাংসদ কুদ্দুস পৌর নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বিপ্লবকে বিদ্রোহী হিসাবে দাঁড় করান। এতে বিপ্লব বিপুল ভোটে পরাজিত হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর হামলা চালানো হয়। সাংসদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের বিতর্কিত পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

হামলার শিকার উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, খামারপাথুরিয়ার কবরস্থানের পাশে একটি পুকুর খননকে কেন্দ্র করে সালিশি বৈঠক ছিল। সেখানে তিনি উপস্থিত হন। বৈঠকের একপর্যায়ে সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস সমর্থক সবুর মিয়াসহ বেশ কয়েকজন তার ওপর চড়াও হয়ে সাংসদের বরাত দিয়ে তাকে গালাগাল দেয় এবং মারপিট করে। পৌর নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষ নেওয়ায় সাংসদ কুদ্দুস তার ওপর ক্ষিপ্ত। সেই সূত্র ধরেই তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। 

এদিকে, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থানীয় সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি এব্যাপারে কিছু জানেন না। রাজনৈতিকভাবে তাকে হেয় করতেই অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

উল্লেখ‌্য, পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস ও পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। সেসময় উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন নৌকার প্রার্থী শাহনেওয়াজের পক্ষে নির্বাচন করেন। শাহনেওয়াজ আলী আওয়ামী লীগের ব্যানারে টানা তিনবার পৌর মেয়র নির্বাচিত হন। মূলত ওই নির্বাচনের রেষারেষিই চলছিল।