সারা বাংলা

মানিকগঞ্জে করোনার ভ্যাকসিনের টিকা প্রয়োগ শুরু

মানিকগঞ্জে করোনা ভ্যাকসিনের টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

রোববার (৭ ফেব্রয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের ভিডিও কনফারেন্সের পর ৯টি কেন্দ্রে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

সকাল পৌনে ১১ টার দিকে নার্সিং কলেজ কেন্দ্রে জেলা প্রশাসক এস. এম ফেরদৌস, পুলিশি সুপার রিফাত রহমান শামীম, সিভিল সার্জন আনোয়ারারুল আমিন আখন্দ একযোগে তিনজন টিকা গ্রহণ করেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা যায়, মানিকগঞ্জ  সদর উপজেলায় কর্নেল মালেক মেডিক‌্যাল কলেজে ১টি , ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ১টি ,পুলিশ হাসপাতালে ১টি এবং ৬টি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১টি করে করোনা ভ্যাকসিনের কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের টিকা প্রয়োগে ৩৭টি টিম কাজ করবে।  কর্নেল মালেক মেডিক‌্যাল কলেজে ৮টি, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৮টি, পুলিশ হাসপাতালে ১ এবং উপজেলাগুলোতে ৩টি করে মেডিক‌্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ২টি টিম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে রির্জাভ থাকবে।  প্রতিটি টিমে ২ জন করে টিকাদান কর্মী ও ৪ জন করে স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। এরমধ্যে টিকাদান কর্মীদের ২ দিনের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। জেলায় ৪৮ হাজার ডোজ করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত জেলায় ১ হাজার আটশো ২৭ জন অ‌্যাপসের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায়  ৭৯৮ জন,সিংগাইর উপজেলায় ৭২ জন, শিবালয় উপজেলায় ৭৩ জন, সাটুরিয়া উপজেলায় ৫৮৮ জন, হরিরামপুর উপজেলায় ১২৮ জন, ঘিওর উপজেলায় ৯০ জন, দৌলতপুর উপজেলায় ৭৮ জনের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। নিবন্ধনকারীরা নিজ নিজ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভ্যাকসিনের টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহণ করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বলেন, ‘ভ্যাকসিন গ্রহণের ১৫ মিনিটের মধ্যে আমার কোনো খারাপ লাগেনি। সুস্থ থাকতে হলে এ ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।’

এ সময় জেলা  প্রশাসক এস. এম ফেরদৌস বলেন, ‘যেসকল বিজ্ঞানীরা এ ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। করোনা প্রতিরোধে সকলকে এ ভ্যাকসিন নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।’

উল্লেখ্য,  জেলায় ১ হাজার আটশো ২৬  জন করোনায় আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ১ হাজার সাতশো ৭১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ পর্যন্ত জেলায় ৩০ জন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।