গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় রোগীর স্বজনদের মারধর করার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করছেন গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান।
নিহত হাসিবুর গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের দক্ষিণ গিদারী গ্রামের বেপারী পাড়ার বকুল মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় আমানউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
নিহত ছাত্রের বাবা বকুল মিয়া অভিযোগ করেন, বিকেলে খেলাধুলা শেষে তার ছেলে হাসিবুর শারীরিক অসুস্থাবোধ করলে তাকে চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যায় জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুজন পাল প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসিবুরকে সাধারণ বেডে ভর্তি করান। এরপর হাসিবুরের অবস্থার উন্নতি না হলে রাত ৯টার দিকে তার শরীরে একটি ইনজেকশন পুশ করেন ডাক্তার। ইনজেকশন পুশ করার পরপরই হাসিবের নাক-মুখ দিয়ে ফেনা ও রক্ত বের হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যায়।
এই ঘটনার প্রতিবাদ জানালে রোগীর স্বজনদের মারধর করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক, নার্স ও তাদের সঙ্গে থাকা বহিরগতরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে, জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার হারুন অর রশিদ হামলা ও ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ওসি মাহফুজুর রহমান জানান,শিশুর মৃত্যুর পর হাসপাতালে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা হয়েছে। এরপর দুপুরে গাইবান্ধা হাসপাতালে মৃতের সুরতহাল রিপোট তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।