সারা বাংলা

নম্বর প্লেটবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিকশার ছড়াছড়ি

মানিকগঞ্জের ঘিওর-দৌলতপুর আঞ্চলিক সড়কে বেড়েই চলেছে নম্বর প্লেট ছাড়া সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংখ্যা। এর বেশিরভাগ চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই। প্রশাসনও এ ব্যাপারে অবাক রকমের নিশ্চুপ। 

প্রশাসনের যথাযথ নজরদারির অভাবে একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, অন্যদিকে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।

এ আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে টাঙ্গাইল, নাগরপুরের যোগাযোগ সহজ হওয়ায় আগের তুলনায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংখ্যা বেড়েছে।  কিন্তু কাউকেই দেওয়া হয়নি নতুন কোনো নম্বর প্লেট।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শিবালয় উপজেলার বরংগাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকার প্রায় সব সিএনজি অটোই নম্বর প্লেটবিহীন। এ স্টেশন থেকেই আরিচা, ঘিওর, দৌলতপুর, টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর, টাঙ্গাইল শহরে যাচ্ছে এসব অটোরিকশা। ঘিওর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সিরিয়ালে থাকা কোনো অটোরিকশারই নেই নম্বর প্লেট। এ চিত্র এখানের আঞ্চলিক সড়কের পুরো অংশ জুড়েই।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব নম্বর প্লেটবিহীন অটো এ সড়কে অনেক দুর্ঘটনার কারণ।  সড়কে এসব অটোরিকশার গতি বেপরোয়া। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর দৌলতপুর উপজেলার মূলকান্দি এলাকায় বাসের ধাক্কায় একই পরিবারের ৬ জনসহ ৭ জন নিহত হন। এরা সবাই অটোরিকশাতে ছিলেন। এ ছাড়া ছোটখাটো দুর্ঘটনা এখানে নিত্যদিনের ঘটনা।

জানা যায়, সড়কে অটোরিকশা চালাতে মালিক সংগঠনকে ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা দিয়ে নিবন্ধন করতে হয়। বরংগাইল, আরিচা, ঘিওর, দৌলতপুর সড়কে ৪শ অটোরিকশা রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ২শ থেকে আড়াইশ অটো সড়কে যাত্রী পরিবহন করে থাকে। বর্তমানে যে কোন স্ট্যান্ড থেকে সিরিয়াল দিতে হলে লাইন ম্যানের খরচ বাবদ দিতে ৩০ টাকা দিতে হয়। এছাড়া সড়কে না চললেও নিবন্ধিত প্রতিটি অটোরিকশা থেকে মাসিক একশ টাকা করে চাঁদা তোলে মালিক সংগঠন। অনেকেরই দাবি, এ চাঁদার একটি অংশ চলে যায় স্ব স্ব এলাকার থানাতে।

তপন নামের এক অটোরিকশা চালক বলেন, সিএনজি চালিয়ে আর আগের মতো আয় করা যায় না। নম্বর প্লেট করতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। তাই নম্বর প্লেট করিনি। এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলেও বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয়।

ঘিওর, শিবালয়, দৌলতপুর টেক্সিক্যাব, অটো টেম্পু (সিএনজি) মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো.নাজমুল হাসান বলেন, প্রতি মাসে একশ টাকা চাঁদা নেওয়ার বিষয় সঠিক নয়। পুলিশকে আমরা ডিউটির জন্য গাড়ি দিয়ে সহযোগিতা করি।

শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানিয়া সুলতানা বলেন, কয়েকদিন আগে এসব নম্বর প্লেটবিহীন সিএনজির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আবারো হয়তো তারা সড়কে নেমেছে। এ বিষয়ে আবারো অভিযান চালানো হবে। 

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, নম্বর প্লেটবিহীন সিএনজিগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।