সারা বাংলা

গৃহবধূ রুবা হত‌্যা: ৬ জনের যাবজ্জীবন 

কিশোরগঞ্জের করিমপুরে গৃহবধূ রুবা হত্যা মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) সৈয়দ শাহজাহান বিষয়টির সত‌্যতা নিশ্চিত করেন।

সৈয়দ শাহজাহান জানান, সকালে আসামিদের উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩০ ডিসেম্বর করিমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার শওকত জাহান ছয়জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। আদালতে সাক্ষ্য ও জেরা শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় প্রায় ১০ বছর পর এই রায় দেওয়া হলো।    যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, করিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া-মোগলপাড়া গ্রামের লুৎতু ওরফে রুকন (৩০), রুকনের চাচাত ভাই শরীফ (২২), শরীফের বাবা সোহরাব (৪৫), সোহরাবের স্ত্রী জোৎস্না (৪০), মুসলিম (৫৫) ও মুসলিমের স্ত্রী নূর নাহার (৩৫)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ভাটিয়া-মোগলপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে শামীমের সঙ্গে বিয়ে হয় একই গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে রুবার। বিয়ের পর থেকে শামীমের পরিবারের সঙ্গে রুবার বনিবনা হয়নি। বিয়ের ১৫ দিন পর ২০১১ সালের ৩ জুন রাতে আসামিরা শ্বাসরোধ করে রুবাকে হত্যা করে বাড়ির পেছনের ডোবায় ফেলে রাখে। এ বিষয়টি জানাজানি হলে ওই রাতে পুলিশ রুবার মরদেহ উদ্ধার করে।

রুবার ভাই আলামিন বাদী হয়ে ৪ জুন রুবার স্বামী শামীমসহ সাতজনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।