সারা বাংলা

আলোচিত নাসির হত্যা: ৯ মাস পর মৃতদেহ উত্তোলন

হত্যার নয় মাস পরে ময়না তদন্তের জন্য শিক্ষক নাসির হাওলাদারের মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ। 

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার বড়ইতলা গ্রামের নাসির হাওলাদারের কবর থেকে মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শহিদুল ইসলাম মিলন রাইজিংবিডিকে জানান, নিহত শিক্ষক নাসিরের বড় ভাই জলিল হাওলদার ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে সদর থানায় প্রমাণসহ নাসিরের স্ত্রী ও তার প্রেমিক রাজুর নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই রাতেই তাদের গ্রেপ্তারের পর আদালতে ১১ ফেব্রুয়ারি হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় মিতু ও প্রেমিক রাজু। 

ওই দিনই মৃতদেহের ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ কবর থেকে তোলার জন্য আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার ওসি অপারেশন সরজিৎ কুমার। আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর হাসপাতালের চিকিৎসকের উপস্থিতিতে মৃতদেহ উত্তোলন করে সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন তারা। 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় সিআইডির ফরেনসিকে বিভাগে পাঠাবে। এর আগে গত বছরের ২৩ মে বরগুনা সদর উপজেলার পশ্চিম গোলবুনিয়া শিশু কিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাসির হাওলাদারকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্ত্রী মিতু আক্তার ও তার প্রেমিক রাজু মিয়া। 

পরে স্বামী হার্ট অ্যাটাক করেছে বলে তড়িঘড়ি করে পরদিন সকাল ১০টায় জানাজা শেষে দাফন করা হয়। হত্যার বিষয়টি একরকম ধামাচাপা পড়ে যায়। কিন্তু ঘটনার ৯ মাস পরে পুলিশের হাতে আসে হত্যার পরিকল্পনার ফোনকল রেকর্ড। এরপর গ্রেপ্তার হয় স্ত্রী মিতু ও প্রেমিক রাজু।

নাসিরের বড় ভাই ও মামলার বাদী জলিল হাওলাদার রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ভাইয়ের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃতদন্ত যেন হয়। আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে মিতু ও তার প্রেমিক রাজু। আমি আমার ভাইকে ফিরে পাব না। তবে ওদের মৃত্যুদণ্ড হলেই ভাইয়ের আত্মা শান্তি পাবে।’