সারা বাংলা

খুলনায় প্রথমবারের মতো শেয়ারিং বাইক ‘স্কুট’ চালু 

খুলনা মহানগরীতে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে রাইড শেয়ারিং ‘স্কুট’ নামের একটি বিশেষ বাহন।

সম্প্রতি ‘স্কুট’ নামের একটি সংস্থা এ বাহনটি চালু করে। প্রাথমিক অবস্থায় নগরীর শিববাড়ি মোড় থেকে সাত রাস্তা মোড় পর্যন্ত চলাচল করছে বাইকটি। মাত্র ১০ টাকা ভাড়া দিয়ে নিজেই চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে বাইকটি।  সাতরাস্তা মোড়ের অদূরে কাজী ভিলায় স্কুটের প্রধান অফিস করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া আটজন ছাত্রের উদ্যোগে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হয়। নগরীর সাত রাস্তা মোড় থেকে শিববাড়ি মোড়ে দুটি বুথ প্রাথমিকভাবে চালু করা হয়েছে। বাইকটি যাতে নগরীতে চলতে পারে সেজন্য খুলনা সিটি করপোরেশন ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

স্কুটের সদস্য শিহাব জানান, প্রাথমিকভাবে খুলনা নগরীর অভ্যন্তরে দুটি বুথের মাধ্যমে বাইক ভাড়া দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এ পরিকল্পনা করা হয় আরও প্রায় এক বছর আগে থেকে।

শিহাব জানান, এটা ভাড়া নিতে হলে প্রথমে ২০ টাকা দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। এই ২০ টাকার মধ্যে ১০ টাকা হলো নিবন্ধন ফি, বাকি ১০ টাকা ভাড়া। এরপর নিবন্ধনকারী যতবার ভাড়া নেবেন ততবার তাকে ১০ টাকা করেই ভাড়া দিতে হবে। এই বাইক সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কেউ যদি রুট বাদে এদিক ওদিক যাওয়ার চেষ্টা করে তাহলে বাইকটি অটোমেটিকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে কেউ চুরির উদ্দেশ্যে ভাড়া নিলেও চুরি করতে পারবেন না। এমনকি রাস্তা ভালো না হলেও (যেমন, গর্ত থাকলে) বাইকটি বন্ধ হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।

স্কুটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজী রেদওয়ান আহমেদ জানান, বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্য নিয়ে বাইকটি খুলনায় চালু করা হয়েছে। প্রথমত, করোনাকালীন অন্যান্য যানবাহনগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে না। কিন্তু এই বাইক ভাড়াগ্রহীতাকেই চালিয়ে গন্তব্যে যেতে হবে।

কাজী রেদওয়ান আহমেদ বলেন, ‘৮টি বাইকের মাধ্যমে আমরা প্রাথমিকভাবে খুলনার শিববাড়ি ও সাতরাস্তা মোড়ে বুথ চালু করেছি। পর্যায়ক্রমে নগরীর আরও বেশ কয়েকটি স্থানে, বিশেষ করে খুলনা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতাল, ডাকবাংলা, পিটিআই মোড়, রূপসায় বুথ করা হবে। বাইক সংখ্যাও বাড়ানো হবে।’

এদিকে, স্কুটের এই বাইক সেবায় সন্তোষ প্রকাশ করে নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মো. মামুন হোসেন বলেন, ‘স্কুট চালু হওয়ায় এখন আর পাবলিক পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। ১০ টাকায় নিজেই বাইক চালিয়ে যাতায়াত করা যাবে। এতে সময় বাঁচবে।’

পশ্চিম বানিয়া খামার এলাকার বাসিন্দা এম. জাকারিয়া বলেন, ‘বর্তমানে রিকশা ভাড়া অতিরিক্ত বেড়েছে। যাত্রী পূর্ণ না হলে ইজিবাইকও সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারে না। এ কারণে স্কুট চালু হয়ে ভালোই হয়েছে। এখন ইচ্ছামত দ্রুত গন্তব্যে পৌছা যাবে।’