খুলনায় পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধসহ ১৪ দফা দাবিতে সমাবেশ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর খালিশপুর পিপলস গোল চত্বরে এ সমাবেশ হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বদলি শ্রমিক নেতা মো. ইলিয়াস হোসেন।
শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো—রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বিরাষ্ট্রীয়করণের সিদ্ধান্ত বাতিল, অবিলম্বে সব পাটকল চালু, পাটকলগুলো আধুনিকায়ন, দৈনিকভিত্তিকসহ সব শ্রমিকের বকেয়া অবিলম্বে পরিশোধ, আলীম জুট মিলের শ্রমিকদের ৬৪ সপ্তাহের বকেয়া বিলসহ সব পাওনা পরিশোধ, বকেয়া ৬ সপ্তাহের মজুরি, উৎসব বোনাস, ইনক্রিমেন্ট ও ২০২০ সালের জুলাই মাসের দুই দিনের মজুরি অবিলম্বে পরিশোধ এবং পাটকল রক্ষা আন্দোলনের নেতাদের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার।
সমাবেশে শ্রমিক নেতারা বলেন, ‘আজ ৫০ হাজার বদলি, স্থায়ী ও দৈনিকভিত্তিক শ্রমিক কর্মহীন শুধু ২৫টি পাটকল বন্ধের রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের কারণে। কর্মহীন শ্রমিকদের পাওনা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সরকার প্রতারণামূলক ব্যবস্থা জারি রেখেছে। এখনও ১৮ হাজার ২০০ বদলি শ্রমিকের বকেয়া পাওনা পরিশোধের কোনো খবর নেই। ৭ হাজার দৈনিকভিত্তিক শ্রমিক জানে না, তারা আদৌ কোনো অর্থ পাবে কি না। শঙ্কা, অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কলোনী থেকে উচ্ছেদ হওয়া শ্রমিকরা।
তারা বলেন, ‘শ্রমিক পরিবারের জীবন-জীবিকা চরম অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাদের সন্তানদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রোগাক্রান্ত শ্রমিকদের ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই। ’
শ্রমিক নেতারা আরও বলেন, ‘যারা সোনালী আঁশের স্বপ্ন ও সম্ভাবনাকে ধ্বংস করতে তৎপর, তারা ইতিহাসে নব্য মীর জাফর হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। ’
শ্রমিক সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন—পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা, মুনীর চৌধুরী সোহেল, এস এ রশীদ, জনার্দন দত্ত নান্টু, মোজাম্মেল হক খান, দলী শ্রমিক নেতা আলতাফ হোসেন প্রমুখ।