সারা বাংলা

চাঁদপুরে গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু, গা-ঢাকা দিয়েছেন স্বামী

চাঁদপুর সদরের লক্ষীপুর ইউনিয়নের বহরিয়া এলাকার বড় বাড়িতে সাথী বেগম (২৬) নামে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় স্বামী শরীফসহ তার পুরো পরিবার গা-ঢাকা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সাথীর বাবা-মা।

জানা যায়, সাথী বেগম চাঁদপুরের চান্দ্রা ইউনিয়নের বাকেরপুর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির বাসিন্দা। তার বাবা মিজান পাটোয়ারি এবং মায়ের নাম ফাতেমা বেগম। সে পরিবারে ২ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে সবার বড়।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, প্রায় ৩ বছর আগে সাথী বেগমের সঙ্গে লক্ষীপুর ইউনিয়নের বহরিয়ার বড় বাড়ির শরীফ খানের বিয়ে হয়। শরীফ বহরিয়া বাজারে একটি দোকান পরিচালনা করতো।

সাথী বেগমের চাচা মুজিবুর রহমান বলেন, ‘বুধবার (৩ মার্চ)  মাগরিবের নামাজের পর সাথীর মৃত্যুর খবর পাই। পরে সাথীর বাড়িতে গিয়ে দেখি তার মরদেহ পরে আছে। সাথীর লাশের পাশে তার দেড় বছরের মেয়ে সুমনা আক্তার বসে মা-মা বলে কান্নাকাটি করছে। এসময় আমি সাথীর মাথা এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধরের চিহ্ন দেখতে পাই। এমনকি দেখি যে সাথীর চুলগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। এতেই বুঝা যায়, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয় বরং তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।’

সাথীর বাবা মিজান পাটোয়ারি এই ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সাথীকে বিয়ে দেওয়ার সময় শরীফ খানকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেই। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই শরীফ আমাদের কাছ থেকে আরো টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করে। টাকা না পেয়ে শরীফ প্রায়ই সাথীকে মারধর করতো।  আর শেষে হয়তো এই যৌতুকের জন্যেই সাথীকে সে হত্যা করলো। আমরা বিষয়টির সুষ্ঠু বিচারের জন্যে চান্দ্রা ইউপি চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হয়েছি।’

চাঁদপুর সদরের চান্দ্রা ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটোয়ারি বলেন, ‘মৃত্যুটি রহস্যজনক।  কারণ এই মৃত্যুর পরেই গা-ঢাকা দিয়েছে সাথীর স্বামী শরীফসহ তার পুরো পরিবার। আমি ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় আমি মৃত সাথীর বাবা মাকে সর্বাত্মক সহযোগীতা করে যাচ্ছি।’

এদিকে ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে বললেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুর রশিদ। 

তিনি বলেন, ‘খবর পেয়েই সাথীর লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় মৃত সাথীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’