সারা বাংলা

‘ঘর পেয়েছি, এবার মৃত্যুর আগে স্বীকৃতি চাই’

প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমিসহ পাকা ঘর পেয়েছেন বাগেরহাটের বৃদ্ধ দম্পতি রতন কুমার বিশ্বাস (৮০) ও মনিরা বেগম (৬৫)। বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) রনসেন গুচ্ছগ্রামে নিয়ে তাদের হাতে জমির দলিল এবং ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

রতন কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু স্বীকৃতি পাইনি। নিজস্ব জমি নেই। অনেক কষ্টে মেগনিতলা রাস্তার পাশে একটি ঝুপড়ির মধ্যে থাকতাম। বিভিন্ন সময় অনেকেই অনেক কিছু দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু কিছুই পাইনি। আজকে প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় একটি পাকা ঘর পেলাম। তাঁকে ধন্যবাদ।’

এই বৃদ্ধ বয়সে মাথা গোজার ঠাঁই পেয়ে অনেকটাই নিশ্চিন্ত রতন বিশ্বাস। ‘মরার আগে অন্তত পাকা ঘরে থাকতে পারব ভেবে ভালো লাগছে। এবার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেলে জীবনে আর কিছু চাই না।’ বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন এই বৃদ্ধ।

এ প্রসঙ্গে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জানতে পারি মুক্তিযোদ্ধা রতন কুমার বিশ্বাস সহধর্মিণীকে নিয়ে সড়কের পাশে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আমি তার খোঁজ নিয়ে তাকে রনসেন গুচ্ছগ্রামে জমিসহ একটি ঘর দেওয়ার প্রস্তাব দেই। তিনি রাজি হন। বার্ধক্যজনিত কারণে দুজনই অসুস্থ। তাদের পানির সংকট দূর করতে ঘরের পাশে একটি ডিপ টিউবওয়েলও বসিয়ে দেব। রতন বিশ্বাসের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির আবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান মুছাব্বেরুল ইসলাম।

বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন বলেন, বাগেরহাটবাসীর যে কোনো সমস্যা সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের নজরে এলে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন। এটি তারই একটি উদাহরণ। এমন আরো যারা অসহায় আছেন তাদেরও সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে।

রতন কুমার বিশ্বাস ও মনিরা বেগম দুজনের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার কালদিয়া গ্রামে। তারা নিঃসন্তান। দুই ধর্মের হলেও ১৫ বছর ধরে তারা সংসার করছেন।