সারা বাংলা

অস্ত্র-মাদকসহ গ্রেপ্তার এসআইসহ ২ সহযোগীর ৪ দিনের রিমান্ড

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে অস্ত্র ও ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই কায়কোবাদ পাঠান এবং তার দুই সহযোগীকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে পুলিশ আসামিদের নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসের আদালতে হাজির করে। সেসময় অস্ত্র ও মাদকের দুটি আলাদা মামলায় প্রত‌্যেককে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানায়। আদালত শুনানি শেষে দুটি মামলায় প্রত্যেকের দুই দিন করে চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার (২২ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উপজেলার মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকা থেকে ২৫ রাউন্ড গুলিসহ দুটি বিদেশি পিস্তল ও ২৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ এসআই কায়কোবাদ পাঠান ও তার দুই সহযোগী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৩ ব্যাটালিয়ানের একটি দল। 

পরে র‌্যাব বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করলে করে। সেই মামলায় মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) তিন আসামিকে আদালতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।

র‌্যাব-৩ ব্যাটালিয়ানের সহকারী সুপার ও অপারেশন অফিসার ফারজানা হক গণমাধ্যকে জানান, চট্টগ্রাম থেকে মাদক নিয়ে এক ব্যবসায়ী ঢাকায় যাচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে র‌্যাবের একটি দল সোমবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা টোলপ্লাজায় অবস্থান নেয়। এসময় সন্দেহভাজন একটি সাদা প্রাইভেটকার টোল প্লাজা অতিক্রম করার সময় সেটি থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। 

প্রাইভেটকারের পেছনের সিটে বসা ছিলেন কালাপাহাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কায়কোবাদ ও তার সহযোগী রবিন হোসেন। প্রাইভেটকারটির চালকের আসনে ছিলেন সোহেল মিয়া। 

এসময় প্রাইভেট কারের ভেতরে তল্লাশি করে ২৪০ বোতল ফেনসিডিল ও এসআই কায়কোবাদের কাছ থেকে ২৫ রাইন্ড গুলিসহ দুটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়। 

এ ব্যাপারে র‌্যাবের টিআই মোকলেসুর রহমান বাদী হয়ে এস আই কায়কোবাদসহ তিন জনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়, আড়াইহাজারের কালাপাহাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির সাবইন্সপেক্টর (এসআই) কায়কোবাদ দীর্ঘদিন ধরে নদী পরিবেষ্টিত দুর্গম চরাঞ্চল কালাপাহাড়িয়া এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লার বাঞ্ছারামপুর, হোমনা ও মেঘনা থানাসহ বিভিন্ন এলাকায় নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।