সারা বাংলা

দুই প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সেজেছে টুঙ্গিপাড়া-ওড়াকান্দি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও ওড়াকান্দির ঠাকুরবাড়িতে ব্যাপক সাজসজ্জা করা হয়েছে। 

টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে সাজসজ্জার কাজ শেষ হয়েছে। সড়কে আঁকা হয়েছে আল্পনা। সড়কের দুই পাশে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় পতাকার পাশাপাশি নানা রঙের পতাকা লাগানো হয়েছে। পুরো সড়কে সাদা কাপড়ের ওপর লাল ও সবুজ নেট দিয়ে একটি ভিন্ন আভা তৈরি করা হয়েছে। 

এছাড়া সড়কের দুই পাশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছবি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানিয়ে বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা বড় বড় বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। সড়কের কিছু অংশে লাইটিংও করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র গণপূর্ত বিভাগ বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে সাজসজ্জা ও শোভা বর্ধনের কাজ করা হয়েছে। পুরো সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে নতুন করে রং ও ধোয়া-মোছা করা হয়েছে। নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষে পুরো মাজার কমপ্লেক্সে সিসিটিভি ক্যামেরায় আওতায় আনা হয়েছে। বাহারি রঙের লাইটিং করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ভবন, লাইব্রেরি ভবন, সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের রাস্তা ও গাছে গাছে লাইট লাগানো হয়েছে। 

এদিকে, নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ির হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থাপনা সৌন্দর্য ও শোভাবর্ধনের কাজ শেষ হয়েছে। মতুয়া নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য দুটি ভেন্যু প্রস্তুত করা হয়েছে। 

ঠাকুরবাড়িতে দুই স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ করা হয়েছে নানা উন্নয়নমূলক কাজ। চারটি হেলিপ্যাড, ভিআইপি লাউঞ্জ এবং মতবিনিময় সভার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ। ঠাকুরবাড়িতে ঢোকার দুটি সড়ক প্রশস্তকরণসহ নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। 

পুরো ঠাকুরবাড়িসহ আশপাশের এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ঠাকুরবাড়িতে আগত দর্শনার্থী ও পূণ‌্যার্থীদের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ঠাকুরবাড়ি আইন শৃঙ্খলা রক্ষা‌কারী বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে। শুধুমাত্র ঠাকুরবাড়ির সদস্যরা যাতায়াত করতে পারছেন। 

আগামীকাল শনিবার নির্ধারিত মতুয়া নেতারা ঠাকুর ঠাকুর বাড়ীতে প্রবেশ করতে পারবেন। তদের সাথে নরেন্দ্র মোদির মতবিনিময় করবেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে ঠাকুরবাড়ি ও আশপাশের সাড়ে চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বাঁশ দিয়ে দুই স্তুরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। ঠাকুরবাড়িতে প্রবেশ সড়কে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, ভারতের জাতীয় পতাকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবিসহ রংবেরঙের পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে। 

টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল বলেছেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী আসছেন। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা থেকে ব্যাপক সাজসজ্জা ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করা হয়েছে। টুঙ্গিপাড়া হেলিপ্যাড থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়ক সাজানো হয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সড়কের দুই পাশে স্থাপন করা হয়েছে।’

গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির সফর উপলক্ষে গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের সব কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দির ঠাকুরবাড়িতে একটি ভিভিআইপি লাউঞ্জ, মতবিনিময় সভার জন্য দুটি ভেন্যু, সার্বিক নিরাপত্তার জন‌্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন, লাইটিং, বাঁশ দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি, সড়কের দুই পাশে দুই দেশের জাতীয় পতাকা এবং বঙ্গবন্ধুসহ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছবি টানানোসহ শোভাবর্ধনের সব কাজ শেষ করা হয়েছে।