সারা বাংলা

চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল জব্বার মোল্লার বাড়ি এবং নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৬ মার্চ)রাত পৌনে ৯টার বনগ্রাম ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিপন দাসের নির্দেশে শতাধিক সন্ত্রাসীরা এই হামলা করে।

শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এসময় চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল জব্বার মোল্লার অন্তত ৩ কর্মী আহত হয়েছেন। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে ৫টি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেলগুলো জব্দ করে।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল জব্বার মোল্লা বলেন,  ‘রাত পৌনে ৯টার দিকে বাড়ি সংলগ্ন নির্বাচনি অফিসে বসে আলোচনা করছিলাম। হঠাৎ করে ৬০ থেকে ৭০টি মোটরসাইকেলের বহর বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে। প্রবেশের সময় মসজিদের লাইট ও মসজিদের সঙ্গে বাড়ির গেট ভাঙচুর করে। এসময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রিপন দাসের জয় হোক, রিপন দাস ভয় নেই বলে স্লোগান দিতে থাকে। এরপর তারা আমাদের অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর শুরু করে। এনাম মজুমদার, আসাদ মোল্লা, কামরুল মোল্লা নামের আমার তিন কর্মীকে মারধর করে। এসময় সবাই চিৎকার দিলে মসজিদে থাকা ইমাম সাহেব মাইকে ঘোষণা দেন। এরপর এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য হুমকি দেয়। আমি নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ এবং এই ন্যাক্কারজনক হামলার সুষ্ঠ বিচার চাই।’

মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ আবু সাইদ বলেন, ‘এশার নামাজের পরে মসজিদের ভিতর কয়েকজনকে নিয়ে ধর্মীয় আলোচনা করছিলাম। হঠাৎ করে অনেকগুলো মোটরসাইকেল এসে মসজিদের সামনের লাইট ভাঙচুর করে, স্লোগান দিতে থাকে। ভয়ে মসজিদের ভিতর থেকে গেট বন্ধ করে দেই। ভিতর থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী জব্বার মোল্লাসহ লোকজন বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকে। আমি উপায়ন্ত না পেয়ে মাইকে ঘোষণা দেই, এলাকাবাসী চলে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।’

হামলার ঘটনা অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান রিপন দাস বলেন, ‘বনগ্রাম এলাকা থেকে সাধীনতা দিবসের সভা, পথসভা ও র‌্যালি শেষে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে জব্বার মোল্লার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমার ৭-৮ কর্মী আহত হয়েছেন।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, সংঘর্ষের ঘটনা জানতে পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন ছিল।  এ পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।।